Friday, August 30, 2013

আবারও যুদ্ধ নামক অভিসাপের সম্মুখীন মধ্যপ্রাচ্য

বিশ্ব ব্যাপি আবারও বেজে উঠতে চলেছে যুদ্ধের দামামা সেই সাথে সৃষ্টি লগ্ন থেকেই জটিল সমীকরনের মুখে থাকা মধ্যপ্রাচ্য আবারও অস্খিতিশীল এক পরিস্থিতির হুমকির সম্মুখিন রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগে সিরিয়ায় আক্রমন করার জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে আমেরিকা তার পশ্চিমা দোসররা সত্যি ভাবতে অবাক লাগে , মধ্যপ্রাচ্যে হাজার হাজার নিরীহ মানুষের উপর আধুনিক অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে দিনের পর দিন অত্যাচার চালাচ্ছে যে ইসরাইল, তাদের ব্যাপারে টু শব্দটি না করলেও এবার সিরিয়ান সরকারের উপর চোখ পরেছে আমেরিকার সিরিয়া যদি সত্যি সত্যি রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেই থাকে , তবে সেটা অবশ্যই গুরুতর অভিযোগ কিন্তু একই কারনে সাদ্দামের বিরুদ্ধে সংঘটিত ইরাক যুদ্ধের পর কে আমেরিকাকে বিশ্বাস করবে বলুন ? মূলকথা হচ্ছে  দিন দিন মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার জন্য হুমকি হয়ে উঠছে বাসার এর সরকার। আমেরিকা যদিও বলছে বেসামরিক লোকজনকে বাচাঁনোর জন্যই তাদের এই আক্রমন পরিকল্পনা , কিন্তু মূল কথা হচ্ছে সিরিয়ান বিপ্লবীদের বাচাঁনোর জন্যই আমেরিকার এই আক্রমন আর আমেরিকা যে বিরোধী বিপ্লবীদের বাচাঁনোর জন্য এই আক্রমন করছে ,তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আল কায়েদার শাখা বলে পরিচিত নুসরা ফ্রন্ট সত্যি ভাবতে অবাক লাগে যে,  যারা আল-কায়েদাকে নিশ্চিন্ন করার জন্য বিশ্বের এক প্রান্তে একের পর এক ড্রোন হামলা করে নীরিহ মানুষজন কে হত্যা করছে, সেই তারাই আল-কায়েদার অপর এক অংশকে বাচাঁনোর জন্য  বিশ্বের অপর এক অংশে ব্যাপক সামড়িক অভিযানের আয়োজন করছে  এই হচ্ছে আমেরিকা তার দোসরদের দ্বি মূখী নীতি একথা এখন সত্যিই বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে যে, বিশ্বকে সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ের আড়ালে শোষন করার ক্ষেত্রে আমেরিকার মূল দোসর ব্রিটেন বা পশ্চিমা কোন রাস্ট্র নয় খোদ বরং খোদআল কায়েদা“ !!!  আমেরিকার এই আক্রমন এর ঘোষনা  দেয়ার পর থেকেই পুরো মধ্যপ্রাচ্য ধনুকের ছিলার মত টানটান হয়ে আছে কেননা আমেরিকা যে
ধরনের আক্রমন পরিকল্পনা করেছে তাতে সিরিয়ান রা তাদের টিকিটিরও দেখা নাও পেতে পারে আর বাসার সরকার যদি দেয়ালে পিঠ ঠেকা অবস্থায় জর্দান, তুরস্কের আমেরিকান ঘাটি বা ইসরাইলে আমেরিকার স্বার্থে আঘাত করে বসে তবে পরিস্থিতি হতে পারে আরো ঘোলাটে যদিও উক্ত দেশগুলোর প্রতিটিরই রয়েছে অত্যাধুনিক ক্ষেপনাস্ত্র বিরোধী ব্যবস্থা  যা আমেরিকানদেরই  সরবরাহ করা সব মিলে বলা যায় যে ,চীন এবং রাশিয়া এখন পর্যন্ত সিরিয়াকে সমর্থন দিয়ে গেলেও  আমার মনে হয় তাদের ভূমিকা সর্মথন দেয়া পর্যন্তই বরং এই যুদ্ধে কেউ যদি সিরিয়ার পাশে দ্বাড়ায় তবে  সেটা হবে তাদের বহু পুরোনো মিত্র লেবানন ভিত্তিক সংগঠন হিযবুল্লাহ ( যদিও সংগঠনটি বর্তমানে নানা সমস্যায় জর্জরিত ) আর ইরান নিজেদের সমস্যা নিয়ে এত ব্যস্ত যে ,  এর উপর চোখ রাখলেও তারা এই ঝামেলার মধ্যে নিজেদের জড়াতে  চাইবে বলে মনে হয় না বাসার একজন একনায়ক , আমি একনায়কতন্ত্রকে সমর্থনও  করিনা কিন্তু আমি একনায়কতন্ত্রকে যতটা অপছন্ন্দ করি  তার চাইতেও বেশি অপছন্দ করি বর্তমানে প্রচলিত এই আমেরিকান তন্ত্র !! যাই হোক না কেন যুদ্ধ কখনই কারও কাম্য নয় , কেননা হঠকারী কোন রাস্ট্র নায়কের কারনে একদিন হয়ত এমন কোনযুদ্ধ থেকেই সৃষ্টি হবে ৩য় বিশ্ব যুদ্ধের আর সেটা হবে এই আধুনিক বিশ্বের পতনের শুরু.....................