সময়টা গ্রীষ্মের শুরু । চারদিকে ধান মাড়াইয়ের উৎসব । আকাশে মেঘ আর
সূর্যমামার মধ্যে লুকোচুরি খেলা চলছে। এই খেলায় হারজিতের মধ্যে কৃষকের
স্বার্থ আছে । সমস্ত কৃষক একমনে চাইছে যেন- সূর্যমামা জিতে যায়।
শাওন পরিবেশটাকে উপভোগ করা চেষ্টা করছে,সে একটা রেল ষ্টেশনে এসে বসে আছে । মন খারাপ বা উদাস লাগলে মাঝে মাঝেই সে এখানে এসে বসে থাকে । প্রায়ই সময় ই মন ভাল হয়ে যায় তবে আজ যে খুব মন খারাপ সেটা বলা যায় না । তার সেই অদ্ভুদ শুন্যতায় ভোগা রোগে পেয়েছে তাকে আজ !!
রেলষ্টেশন খুবই মজার একটা জায়গা। কত বিচিত্র মানুষ আর বিচিত্র কান্ড কারখানা যে ঘটে একটা ষ্টেশনে । যখন ট্রেন আসে চারদিকে কত ব্যস্ততা। আর সেই সময়টাতে চুপচাপ কোন একটা কোনায় বসে সব দেখার মধ্যে একটা মজা আছে, কোন ঘটনা দেখে যেমন কষ্ট লাগে আবার কোনটা দেখে একা একাই হাসি পায়। ক্ষনেক্ষনে নিজের মুখের অভিব্যক্তি বদলটা বুঝেও যেমন তার হাসি পাচ্ছে।ট্রেন চলে গেলেই পুরো দৃশ্যটা বদলে যাবে । ব্যস্ততায় ভরা একটা জায়গা নিমিষেই কেমন সুনসান নীরব হয়ে যাবে।ফস্বল শহরের ষ্টেশনগুলো যেন জীবনেরই প্রতিচ্ছবি। কখনও প্রচন্ড উচ্ছাসে ভরা আবার কখনও একদম নিশ্চুপ।
শাওন পরিবেশটাকে উপভোগ করা চেষ্টা করছে,সে একটা রেল ষ্টেশনে এসে বসে আছে । মন খারাপ বা উদাস লাগলে মাঝে মাঝেই সে এখানে এসে বসে থাকে । প্রায়ই সময় ই মন ভাল হয়ে যায় তবে আজ যে খুব মন খারাপ সেটা বলা যায় না । তার সেই অদ্ভুদ শুন্যতায় ভোগা রোগে পেয়েছে তাকে আজ !!
রেলষ্টেশন খুবই মজার একটা জায়গা। কত বিচিত্র মানুষ আর বিচিত্র কান্ড কারখানা যে ঘটে একটা ষ্টেশনে । যখন ট্রেন আসে চারদিকে কত ব্যস্ততা। আর সেই সময়টাতে চুপচাপ কোন একটা কোনায় বসে সব দেখার মধ্যে একটা মজা আছে, কোন ঘটনা দেখে যেমন কষ্ট লাগে আবার কোনটা দেখে একা একাই হাসি পায়। ক্ষনেক্ষনে নিজের মুখের অভিব্যক্তি বদলটা বুঝেও যেমন তার হাসি পাচ্ছে।ট্রেন চলে গেলেই পুরো দৃশ্যটা বদলে যাবে । ব্যস্ততায় ভরা একটা জায়গা নিমিষেই কেমন সুনসান নীরব হয়ে যাবে।ফস্বল শহরের ষ্টেশনগুলো যেন জীবনেরই প্রতিচ্ছবি। কখনও প্রচন্ড উচ্ছাসে ভরা আবার কখনও একদম নিশ্চুপ।
হঠাৎ করেই
ষ্টেশনের একটা কোনা গলে দুটো পিচ্চি বের হয়ে আসলো। অল্পক্ষনেই গল্পও জমে
উঠলো। দুজনের একজনের নাম আলিফ আর একজন আলম ।আলম একটু বোকাসোকা কিন্তু আলিফ
প্রচন্ড চালাক 
গল্পে গল্পে বোঝা গেল বর্তমান দুনিয়া সম্পর্কে বেশ ভাল ধারনাই আছে আলিফের। শাওন আলিফের হাতে একটা বিশ টাকার নোট ধরিয়ে দিয়ে অর্ধেক খরচ করে অর্ধেক ফেরত আনতে বললো।
দুজন যাওয়ার একটু পর থেকে শাওনের কেন জানি সন্দেহ হচ্ছে ! সে আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছে যে,তারা বাকি টাকাটা নিয়ে ফিরবে,নাকি ফিরবে না ? ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিরে আসলে বাকি ১০টাকাও তাদের দুজনকে খাওয়ার জন্য দিয়ে দিবে ।
হঠাৎ করে ঘন্টার শব্দে মনযোগ নড়ে উঠলো শাওনের । নতুন একটা ট্রেন আসবে। সুনসান স্টেশনটা আবার জ্যন্ত হয়ে উঠছে। এতক্ষন ষ্টেশনের এক কোনায় অলস শুয়ে থাকা পঙ্গু ভিক্ষুকটার মাঝেও ব্যস্ততা দেখা গেল। একটা পিচ্চি মেয়ে এইমাত্র তার বাবার হাত ধরে ষ্টেশনে প্রবেশ করলো। শাওনের তার বাবার কথা মনে পড়লো।ছোট বেলায় প্রতি সপ্তাহে বাবা যখন অফিস থেকে ১দিনে জন্য বাড়িতে আসতো। সেদিনটা হতো তার জন্য ঈদের দিন
বাবার বিশাল বুকটা হতো সেদিন তার ঘুমানোর বিছানা। অথচ কতদিন বাবার হাত ধরা
হয় না ! ঝিরঝির করে একটা বাতাস বইলেও বেশ গরম গরম লাগছে । নাহ-সূর্যমামাটা
আজ জিতেই গেল !
ইতিমধ্যে আলিফ আর আলম ফিরে এসেছে। শাওন বাকি টাকা চাইতেই বললো -সবটাকাই খেয়ে এসেছে
শাওন বেশ বুঝতে পারলো-তারা কিছুই খায় নাই বরং পরিকল্পনাটুকু সাজাতে আলিফের সময় ব্যয় হয়েছে ।সে হয়তো এই ২০ টাকা ভাগাভাগিতে আলমকে বঞ্চিতও করেছে।
গল্পের এই অংশটুকু আসলে নশ্বর এই পৃথিবীটা নষ্ট হওয়ার গল্প ।
হুট করেই শাওনের আর এই ষ্টেশনটা ভাল লাগছে না । ট্রেনটা ইতিমধ্যে ষ্টেশন ছেড়ে চলে গেছে । অপেক্ষা এখন নতুন একটা ট্রেনের। নতুন ট্রেন,নতুন গল্প ।
নতুন জীবনের গল্প .................জ

গল্পে গল্পে বোঝা গেল বর্তমান দুনিয়া সম্পর্কে বেশ ভাল ধারনাই আছে আলিফের। শাওন আলিফের হাতে একটা বিশ টাকার নোট ধরিয়ে দিয়ে অর্ধেক খরচ করে অর্ধেক ফেরত আনতে বললো।
দুজন যাওয়ার একটু পর থেকে শাওনের কেন জানি সন্দেহ হচ্ছে ! সে আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছে যে,তারা বাকি টাকাটা নিয়ে ফিরবে,নাকি ফিরবে না ? ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিরে আসলে বাকি ১০টাকাও তাদের দুজনকে খাওয়ার জন্য দিয়ে দিবে ।
হঠাৎ করে ঘন্টার শব্দে মনযোগ নড়ে উঠলো শাওনের । নতুন একটা ট্রেন আসবে। সুনসান স্টেশনটা আবার জ্যন্ত হয়ে উঠছে। এতক্ষন ষ্টেশনের এক কোনায় অলস শুয়ে থাকা পঙ্গু ভিক্ষুকটার মাঝেও ব্যস্ততা দেখা গেল। একটা পিচ্চি মেয়ে এইমাত্র তার বাবার হাত ধরে ষ্টেশনে প্রবেশ করলো। শাওনের তার বাবার কথা মনে পড়লো।ছোট বেলায় প্রতি সপ্তাহে বাবা যখন অফিস থেকে ১দিনে জন্য বাড়িতে আসতো। সেদিনটা হতো তার জন্য ঈদের দিন

ইতিমধ্যে আলিফ আর আলম ফিরে এসেছে। শাওন বাকি টাকা চাইতেই বললো -সবটাকাই খেয়ে এসেছে

শাওন বেশ বুঝতে পারলো-তারা কিছুই খায় নাই বরং পরিকল্পনাটুকু সাজাতে আলিফের সময় ব্যয় হয়েছে ।সে হয়তো এই ২০ টাকা ভাগাভাগিতে আলমকে বঞ্চিতও করেছে।
গল্পের এই অংশটুকু আসলে নশ্বর এই পৃথিবীটা নষ্ট হওয়ার গল্প ।
হুট করেই শাওনের আর এই ষ্টেশনটা ভাল লাগছে না । ট্রেনটা ইতিমধ্যে ষ্টেশন ছেড়ে চলে গেছে । অপেক্ষা এখন নতুন একটা ট্রেনের। নতুন ট্রেন,নতুন গল্প ।
নতুন জীবনের গল্প .................জ