ক্রিকেট বিশ্বকাপ আর এইটা নিয়ে কথা হবে না সেটা তো হতে পারে না
কন্ডিশন আর বর্তমানে দলগুলোর অবস্থান -সবমিলে মনে হচ্ছে একটা জমজমাট বিশ্বকাপই হতে যাচ্ছে। সবাই রান রান বলে মুখে তুবরি ছোটালেও, নিজেদের প্রথম ম্যাচেই পাকিস্থান বরারবরে মতই সবাইকে ভুল প্রমান করে দিয়েছে
কন্ডিশন আর বর্তমানে দলগুলোর অবস্থান -সবমিলে মনে হচ্ছে একটা জমজমাট বিশ্বকাপই হতে যাচ্ছে। সবাই রান রান বলে মুখে তুবরি ছোটালেও, নিজেদের প্রথম ম্যাচেই পাকিস্থান বরারবরে মতই সবাইকে ভুল প্রমান করে দিয়েছে
এবারে আমি একটু দলগুলোর সম্ভাবনা আলোচনা করতে চাই।
ইংল্যান্ডঃ এই বিশ্বকাপের সবচেয়ে আলোচিত দল হচ্ছে ইংল্যান্ড। বলা হচ্ছে এই দলটা চ্যাম্পিয়ন হয়ে যেতে পারে , চ্যাম্পিয়ন হবে কিনা জানি না তবে ইংল্যান্ড নিশ্চিত সেমি ফাইনাল খেলবে। বর্তমানে তাদের যেই ফর্ম আর ধারাবাহিকতা তাতে কোনভাবেই ইংল্যান্ড এতগুলো ম্যাচ হারবে না যে, তারা সেমি খেলতে পারবে না। শক্তির কথা বললে কাকে ছেড়ে কার কথা বলবো – তারপরও তাদের দুজন ওপেনারের সাথে সাথে জোফরা আর্চারের উপর চোখ রাখতে পারেন আর মরগ্যান তো আনস্যাং হিরো , সে সব সময়ই ম্যাচে থাকবে।
অস্ট্রেলিয়াঃ অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে বরাবরই হট টিম । ছন্দপতন না হলে তারা সম্ভবত আর একটা সেমি ফাইনালিষ্ট দল । ৩ জনের উপর চোখ রাখতেই হবে - ওয়ার্নার,স্মিথ আর ম্যাক্সি । আর মার্কাস স্টয়নিস দলটাতে পুরা ভারসাম্য ও স্থিতি এনে দিয়েছে । স্টয়িনিস এর কারনেই অস্ট্রেলিয়ার সম্ভাবনা কয়েকগুন বেড়ে গেছে। একজন ভালো অলরাউন্ডার যে একটা দলে কতটা স্থিতি এনে দিতে পারে সেটা তো আমরা আমাদের সাকিবকে দেখলেই বুঝতে পারি ।
শ্রীলংকাঃ এই শ্রীলংকা একটা ভাঙ্গাচোরা দল। কিছু দল থাকে যারা দিন দিন ক্ষয়ে যেতে থাকে তারপর আবার গড়ে উঠে । কিন্তু শ্রীলংকা ক্ষয়ে গিয়ে একটা জায়গায় আটকে আছে। কারও একট নৈপূন্যে ২/৩ টা ম্যাচ হয়তো জিতলেও জিততে পারে । সবমিলে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের আমি তেমন কোন আশা দেখছি না ।
ভারতঃ বর্তমান ক্রিকেট বাজারে ভারতের ভাল দাম আছে । তারা সেমিফাইনালের আর একটা জায়গার দাবীদার। কোহলি ফ্যাক্ট এর কথা বাদ দিলেও ইন্ডিয়ার ব্যাটিং শক্তি সব সময়ই সেরা । কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি তাদের বোলিংটা সম্ভবত এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে যাওয়া তাদের দলগুলোর মধ্যে সেরা । ব্যাটিং আর বোলিং শক্তির পাশাপাশি ক্রিকেট মস্তিস্কেরও খেলা । আর এক ধোনী থাকাতে সেখানে তারা অনেক এগিয়ে থাকবে । বিশেষ করে রান ডিফেন্ড করার ক্ষেত্রে ক্লোজ ম্যাচগুলোতে ধোনী ইমপ্যাক্টের কারনে ইন্ডিয়া এগিয়ে যাবে ।
নিউজিল্যান্ডঃ অনেকে কেন জানি এই দল টাকে গোনায় ধরছে না । একসময় নিউজিল্যান্ড ছিলো ছোট ছোট অলরাউন্ডারে ভরপুর একটা দল। কিন্তু বর্তমানের এই দলটা অনেক ব্যালান্স । আছে ম্যাককুলাম এর শুরু করে যাওয়া আক্রমনাত্মক ফর্মূলা । উপরে গাপটিল আর তারপরে উইলিয়ামসন,টেলরের মত অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান । তবে আমি বলবো তাদের মূল শক্তি হচ্ছে বৈচিত্রপূর্ন বোলিং ।
পাকিস্থানঃ পাকিস্থান বরাবরই অনমুনেয় দল , তাদের নিয়ে প্রেডিকশনের কিছু নাই । আমি নিশ্চিত বলে দিচ্ছি তারা সেমিফাইনাল খেলতে পারবে না ।
আফগানিস্থানঃ উপরে জাজাই আর নিচে রশিদ খান মিলে নিশ্চিত ভাবেই বেশকিছু বড় দলকেও চমকে দেয়ার ক্ষমতা আছে আফগানদের । তারা ১/২ টা ম্যাচ জিতলেও জিততে পারে কিন্তু কাদের বিপক্ষে সে বিষয়ে কোন গ্যারান্টি নাই । তাদের সবচেয়ে বড় শক্তি বর্তমান বিশ্বের সেরা লেগ স্পিনারটা তাদের দলে। এক রশিদ খানকে বাদ দিলে এই দলের বর্তমান সম্ভাবনা ৪০% কমে যাবে ।
সাউথ আফ্রিকাঃ নতুন পুরাতন মিলে অনেক অনেক খেলোয়ার, অনেক অনেক পারফর্মার । সেমিফাইনালে আসার বড় দাবীদার কিন্তু আমি কেন জানি ভরসা করতে পারছি না এদের উপর। মন থেকেই বলছি সাউথ আফ্রিকার ব্যাপারে আমি কনফিউজড । স্টেইন পড়ন্ত বেলায় চলে আসলেও তরুন তুর্কি কাগিসো রাবাদা দারুন , আছেন আমলা,ডিকক আর ধারাবাহিক ফ্যাফ। তারপরও আমার কেন জানি মনে হচ্ছে এরা ২টা ক্লোজ ম্যাচ হেরে সম্ভাবনা খুইয়ে দিবে ।
ওয়েষ্ট ইন্ডিজঃ ওয়েষ্ট ইন্ডিজকে কেউ গোনায় ধরছে না বাট আমি বলবো “কিপ এন আই অন দেম ”। গেইল আর হোপ ফর্মে আছে, লোয়ার অর্ডারে হোল্ডার ভাল করছেন , বোলিংটাও মোটামুটি মানের । তবে এই দলটাকে পাল্টে দিয়েছে রাসেলের অর্ন্তভুক্তি । ৯৯ বিশ্বকাপে এক ক্লুজনার যেমন সাউথ আফ্রিকা দলটাকে টেনে তুলেছিলেন । রাসেলের সামর্থ আছে তার থেকেও বেশি কিছু করার । অনেক ম্যাচেই হয়তো পিছিয়ে থাকবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ , এমন কি নিশ্চিত হারা ম্যাচেও ধুপ ধাপ ম্যাচ বের দিতে পারেন রাসেল-এ রিয়েল গেম চেঞ্জার । সাউথ আফ্রিকার থেকে আমি সেমি ফাইনালের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এগিয়ে রাখবো ।
বাংলাদেশঃ কোন প্রেডিকশন নেই আমি চাই বাংলাদেরশ চ্যাস্পিয়ন হোক
এটা তো আবেগের কথা চলেন এবার দেখি সম্ভাবনা কি বলে ?
বাংলাদেশ কি সত্যিই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার যোগ্যতা রাখে । ১৯৮৩ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আগে ভারত মাত্র ১টা ম্যাচ জিতেছিল আমরা তো সে তুলনায় এগিয়ে আছি নাকি ? ক্রিকেটীয় যুক্তির কথা যদি বলি আমরা কিন্তু নিজেদের উন্নতির গ্রাফটা ধরে রেখেছি । গত বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমি ফাইনাল ,এরপর এশিয়া কাপের ফাইনাল । সর্বশেষ ত্রিদেশীয় কাপে চ্যাম্পিয়ন । এর মাঝেও গত চার বছরে ওয়ানডেতে আমাদের পারফরম্যান্স বলার মতই । আগে বলা হতো আমাদের দিনে আমরা যে কোন দলকে হারাতে পারি । আমি তো বলবো বর্তমানে যে কোন দিনে, যে কোন দলকে হারানোর সামর্থ আমাদের আছে । কেউই আর নিশ্চিত জয় ভেবে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে নামে না । আমাদের পঞ্চ পান্ডবের ব্যাপারে কিছু বলার নেই , এর সাথে তরুন তুর্কিরাও তারুন করছেন।ইমরুলকে বাদ দেয়া নিয়ে অনেক কথা হয়েছে, তাকে দিয়ে হয়তো সম্মান রক্ষা হবে কিন্তু ম্যাচ জেতাতে আমাদের আসলে সৌম্য আর লিটনদেেই দরকার। নিজেদের খেলা খেলতে পারলে যে কোন দল স্রেফ অসহায় এদের সামনে । আমাদের আছেন একজন সাকিব- এই ছেলেটা নিজ দেশে তো বটেই , দেশের বাইরেও কিছুটা আন্ডার রেটেট। ও যদি বাংলাদেশের না হয়ে অন্যে দেশের হতো তবে তাকে নিয়ে মাতামাতি বেশি হতো। আমরা ভাগ্যবান সে আমাদের দলে, নিশ্চিত থাকেন সাকিব বিশ্বকাপে ভালো করবেই । তামিম বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম সেরা একজন ওপেনার । মুশি আর রিয়াদ সব সময়ের মতই বিপদের বন্ধু । আর সবার উপরে ম্যাশের ক্রিকেট মস্তিস্ক আর ক্যারিশমাটিক নেতৃত্ব তো আছেই । সবমিলে আমাদের সেমি ফাইনাল খেলার ভাল সম্ভাবনা আছে ।
এবার আসি কেমন হতে পারে বাংলাদেশের বেষ্ট ইলেভেন । আমি চাই সৌম্য আর লিটন দুজনই খেলুক।
এটা তো আবেগের কথা চলেন এবার দেখি সম্ভাবনা কি বলে ?
বাংলাদেশ কি সত্যিই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার যোগ্যতা রাখে । ১৯৮৩ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আগে ভারত মাত্র ১টা ম্যাচ জিতেছিল আমরা তো সে তুলনায় এগিয়ে আছি নাকি ? ক্রিকেটীয় যুক্তির কথা যদি বলি আমরা কিন্তু নিজেদের উন্নতির গ্রাফটা ধরে রেখেছি । গত বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমি ফাইনাল ,এরপর এশিয়া কাপের ফাইনাল । সর্বশেষ ত্রিদেশীয় কাপে চ্যাম্পিয়ন । এর মাঝেও গত চার বছরে ওয়ানডেতে আমাদের পারফরম্যান্স বলার মতই । আগে বলা হতো আমাদের দিনে আমরা যে কোন দলকে হারাতে পারি । আমি তো বলবো বর্তমানে যে কোন দিনে, যে কোন দলকে হারানোর সামর্থ আমাদের আছে । কেউই আর নিশ্চিত জয় ভেবে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে নামে না । আমাদের পঞ্চ পান্ডবের ব্যাপারে কিছু বলার নেই , এর সাথে তরুন তুর্কিরাও তারুন করছেন।ইমরুলকে বাদ দেয়া নিয়ে অনেক কথা হয়েছে, তাকে দিয়ে হয়তো সম্মান রক্ষা হবে কিন্তু ম্যাচ জেতাতে আমাদের আসলে সৌম্য আর লিটনদেেই দরকার। নিজেদের খেলা খেলতে পারলে যে কোন দল স্রেফ অসহায় এদের সামনে । আমাদের আছেন একজন সাকিব- এই ছেলেটা নিজ দেশে তো বটেই , দেশের বাইরেও কিছুটা আন্ডার রেটেট। ও যদি বাংলাদেশের না হয়ে অন্যে দেশের হতো তবে তাকে নিয়ে মাতামাতি বেশি হতো। আমরা ভাগ্যবান সে আমাদের দলে, নিশ্চিত থাকেন সাকিব বিশ্বকাপে ভালো করবেই । তামিম বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম সেরা একজন ওপেনার । মুশি আর রিয়াদ সব সময়ের মতই বিপদের বন্ধু । আর সবার উপরে ম্যাশের ক্রিকেট মস্তিস্ক আর ক্যারিশমাটিক নেতৃত্ব তো আছেই । সবমিলে আমাদের সেমি ফাইনাল খেলার ভাল সম্ভাবনা আছে ।
এবার আসি কেমন হতে পারে বাংলাদেশের বেষ্ট ইলেভেন । আমি চাই সৌম্য আর লিটন দুজনই খেলুক।
১। তামিম , ২। সৌম্য, ৩। সাকিব, ৪। মুশফিক, ৫। লিটন ৬। রিয়াদ , ৭। সাব্বির/ মোসাদ্দেক ৮। মিরাজ/সাইফ ( পিচ কন্ডিশন অনুযায়ী) ৯। মাশরাফি ১০।রুবেল ১১। মোস্তাফিজ
প্রয়োজন হলে লিটন আর রিয়াদের পজিশন চেঞ্জ করা যেতে পারে । উপমহাদেশের দলগুলোর বিপক্ষে সাব্বির আর অস্ট্রেলিয়া,নিউজিল্যান্ডি ,সাউথ আফ্রিকা এদের বিপক্ষে মোসাদ্দেককে খেলানো যেতে পারে, তখন মোসাদ্দেকে এর স্পিনটাকে কাজে লাগানো যাবে।
রুবেলকে খেলানোটা জরুরি । ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে ৩০০+ স্কোরের কথা বলে অনেকেই মুখে ফেনা তুলছেন কিন্তু রান ৩০০ হবে কিনা সেটা নির্ভর করবে মাঝের ওভারগুলোর উপর । আপনি যদি এই সময়ে কয়েকটা উইকেট নিতে পারেন তাতে নিশ্চিতভাবেই প্রতিপক্ষকে ৩০০ রানের নিচে আটকে ফেলার সম্ভাবনা প্রচুর । আর মাঝের ওভারগুলোতে ব্রেক থ্রু দেয়ার জন্য রুবেলই আমাদের সেরা বোলার।
তবে যদি সুইং করার মত কন্ডিশন থাকে, বল মুভ করে । সেক্ষেত্রে রাহিকে খেলোনো যে পারে কারন রাহি দুই দিকেই সুইং করাতে সক্ষম ।
এই টূর্নামেন্টের শুরুটা আমাদের জন্য গুরত্বপূর্ন । শুরুটা দারুন হলে আমরা দারুন ভাবে শেষ করতে পারবো আশাকরি।
বাংলাদেশ দলের জন্য শুভ কামনা ।
তবে ভুলে যাবেন না , মোটামুটি সব দেশই বাংলাদেশকে হারানোর ছক কষেই মাঠে নামবে। বড় দলগুলো তো নিশ্চিত পয়েন্ট ধরে রাখবেই । মাঝারি দলগুলোও কোন ভাবেই হারতে চাইবে না । এমনকি আফাগানিস্থানের টার্গেট লিষ্টেও প্রথম নামটা বাংলাদেশের নিশ্চিত । আশা করতে দোষ নেই কিন্তু আশা আর বাস্তবতার ফারাকটাও সবাইকে বুঝেই আশা করতে বলছি
সেমিফাইনাল খেলার মত দল চারটা তাহলে হচ্ছে- ইংল্যান্ড,ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ( নিউজিল্যাণ্ড ,বাংলাদেশ আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে যে কোন একটা দল )
ফাইনাল নিয়ে কোন কথা বলার নেই । তবে ১টা দল ইংল্যান্ড হবার সম্ভাবনাই বেশি আর একটা দল যদি বাংলাদেশ হয় তবে আমার মত নিশ্চই আপনিও খুশি হবেন
বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হলে তো কোন কথাই নেই তবে ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেলেও তাতে বাংলাদেশে অবদান থাকবে ।কারন আজকের এই যে খোলনচে পাল্টে ফেলা ইংল্যান্ড দল সেটা তো বাংলাদেশ দলের সাথে হেরেই !
No comments:
Post a Comment