Tuesday, December 10, 2013

গল্প একটি স্বপ্ন নিয়ে

কোনকিছু না ভেবেই গত ১৩ নভেম্বর হঠাৎ করেই এই গল্পটা লেখা শুরু করেছিলাম । এরপরে আর হাঁত দেয়া হয়নি । ভাবছিলাম আমার অনেক চিন্তা আর প্লটের মত এই জিনিসটাও বোধ হয় কালের গভীরে হারিয়ে যাবে । কিন্তু আজ হটাৎ করেই মনে হল, গল্পের শেষটা বোধহয় আমি পেয়ে গেছি !! আর তাই দেরি না করে শেষ করে ফেললাম ।

::::  ::::
            গতকাল রাতেও বরাবরের মতই ঘুমাতে দেরি হয়েছে রাজীবের ! সেই সাথে শরীরটাও ভাল না !! ফলাফল সকালে ঘুম থেকে উঠতে আজ দেরি হয়েছে । কেন জানি না আজকের দিনের শুরুটা অন্যরকম লাগছে তার কাছে । ঘুম থেকে উঠেই মনে পড়ল গতকাল রাতের স্বপ্নটার কথা , আজিব তো !!! এই স্বপ্ন তো তার দেখার কথা নয় ,কতদিন...... কতদিন পর মনে পড়ল এইসব কথা । আসলে বাস্তব আর স্বপ্নের মাঝে অনেক পার্থক্য আর তাই স্বপ্ন দেখা সে ছেড়েই দিয়েছে, কিন্তু এ তো এক অনাকাঙ্খিত স্বপ্ন !!! এই সব ভাবতে ভাবতেই নাস্তাটা সে সেরে ফেলল..নাহ ! দিনটা অন্যরকম লাগলেও নাস্তাটা আজও বরাবরের মতই, কোন “ডিফারেন্স’ নেই ! আসলে তার একটা পরিবর্তন দরকার সত্যিই খুব খুব করে দরকার । নাস্তা করার পর বাসায় থাকায় আর কোন মানে হয় না । বের হওয়ার সময় মায়ের উপদেশগুলো আবছা আবছা কানে আসলেও তার মাথায় তখন বন্ধুদের চিন্তা , রহমতের চায়ের দোকানে তারা তার জন্য অপেক্ষা করছে ....

রাস্তার মোড় আসতেই প্রথম রাহাত,সুমন আর মিলনের সাথে দেখা ।
সুমনই প্রথম কথা বলল, কি দোস্ত ! তোকে আজ অন্যরকম লাগছে !!
আরে নাহ !! এক রাতেই আমি কি বদলে গেলাম নাকি ? উত্তর করলেও রাজীবের আবারও গতরাতের স্বপ্নটার কথা মনে পড়ল !!
      চারজন মিলে একসাথে বসে রহমতের আদা চাঁ আর দিনের প্রথম ধুম্র শলাকাতে আগুন দিয়ে শুরু হল গতানুগতিক আড্ডা ! কিন্তু তাদের কোন কথাই রাজীবের কানে প্রবেশ করছে না । সিগারেটের ধোঁয়াগুলোর মতই একটার পর একটা চিন্তা তার মাথায় পাক খেতে শুরু করেছে, পার্থক্য শুধূ ধোঁয়াগুলো পাক খেতে খেতে উড়ে গেলেও চিন্তাগুলো তার মাথাতেই জট পাকাচ্ছে ।

এমন সময় নাহিদ এসে দোকানে ঢুকেই চায়ের জন্য একটা হাকঁ ছাড়ল ।

আসলে সকাল বেলা রহমত এর লেবু চাঁ ছাড়া তাদের দিনের শুরুটা চিন্তাও করা যায় না। রহমতের লেবু চায়ের সাথে একটা গোল্ডলিফ না হলে দিনটা  যেন শুরু হয়েছে বলে মনে হয় না । 
ইতিমধ্যে আড্ডাটা জমে উঠেছে ।
আলোচনার বিষয়বস্থু বাংলাদেশে অনুষ্ঠিতব্য টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ । সবাই আফগানিস্থান আফগানিস্থান  করে চিল্লাছে ! রাজীব এতক্ষন চুপচাপ থাকলেও হঠাৎ বলে উঠল
- আফগানিস্থান নিয়ে এত কথা বলার কি আছে ? এত এত কথায় চাপটা বাড়ছে আর শেষ পর্যন্ত চাপটাই না আমাদের জন্য কাল হয়ে যায় ।
 সুমন বলল, ঠিক বলেছিস দোস্ত । এটা নিয়ে এত চিন্তার কিছু নেই নিজের খেলা খেলতে পারলে আমরা এমনিতেই জিতব।
  হঠাৎ নাহিদ রাজীবের কথায় টপিকটা চেঞ্জ হয়ে গেল । সে তার  দিকে তাকিয়েই বলে উঠল “কিরে দোস্ত ! আজ তোরে এমন বিষন্ন লাগছে কেন ?
রাহাত বলল, পুরান কথা নাকি বস ?
মিলনটাও বরাবরের মত টিপ্পনি কাটতে ছাড়ল না “ শালা মাইনষে ১০টা ১২ টা প্রেম করে আর তুই আছস ওই একখান নিয়া, ডিজিটাল যুগের মানুষ হইয়াও শালা এই ক্ষেত্রে তুই এখনও এনালগ “
নাহিদ শান্তনা দেয় “ পুরান কথা ভেবে কি লাভ দোস্ত !
 “হ পুরানই তো ” রাজীব ভাবে । আহা কি সব দিন ছিল তখন,এখনও ভাবতেই রক্তে এড্রেনালিন এর প্রবাহ বেড়ে যায়।    
  টগবগিয়ে উঠে রক্ত ।
  কিন্তু কিছু ভুল আর … নাহ ভাবতে ইচ্ছা করে না আর । কিন্তু তারপরও এই এতদিন পর কেন এই স্বপ্ন ? মাঝে মাঝে মনে খোচাঁ দিলেও সে তো সবকিছু প্রায় ভুলতেই বসেছিল ।
এইসব নিয়া অতীতে বন্ধুদের অনেক খোচাঁ সহ্য করতে হয়েছে তাই সেসব আর বলতে চায় না । এমনকি অনেক বন্ধুর সাথে এ নিয়ে তার সম্পর্কটাও প্রায় নষ্ট হতে বসেছিল ।
আবারও সবাই ক্রিকেটের আড্ডায় মত্ত ।
কাউকে কিছু না বলেই হঠাৎ বের হয়ে আসল  রাজীব, পিছন থেকে সুমন ডাকলেও ,কোন জবাব না দিয়েই উদ্দেশ্যহীন ভাবে  হাটঁতে থাকল সে ।
  পিছন থেকে ওরা চারজন অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকলেও  রাজীবের মাথায় তখন শুধু রাতের সেই স্বপ্নটা !!
উদ্দেশ্যহীনভাবে বের হয়ে আসলেও ঠিক কিভাবে যে রাজীব হুদা মিয়ার পুকুরঘাটে পৌছাঁল বলতে পারবে না ।
এই পুকুরঘাটটা তার খুব পছন্দ ।
চারপাশে অনেক গাছপালা আর নির্জন পরিবেশ হওয়াতে এখানে এলে প্রকৃতিকে উপভোগ করা যায় । তার মন খারাপ হলেই সে এখানে চলে আসে ।
দুপুরের কাঠফাটাঁ রোদ্দুরে আশপাশটা জ্বলছে বলে মনে হলেও  প্রকৃতি তার ছায়াঁ দিয়ে পুকুর পারটিকে শান্ত আর ঠান্ডা করে রেখেছে । রাজীবের মনে হল পুকুর পাড়ের সবুজ ঘাসগুলো যেন তার বসার জন্যেই গালিচা মত হয়ে আছে ।

বসতে বসতে রাজীব ভাবে এবার অন্তত বিষয়টা নিয়ে একটু চিন্তা করা যাবে ।ব্যাপারটা এখনও তার  মাথাতেই আসছে না।
 এও কি সম্ভব ! এটা কি কখনও হতে পারে ?
এমনিতে সে স্বপ্ন খুব একটা দেখে না, অনেক সময়  জোর করে স্বপ্ন দেখার চেষ্টাও করেছে । যেসব কথা মনে পড়লে এখনও তার হাসিঁ পায় । কলেজে থাকতে বন্ধুরা কত কিছু নিয়েই না স্বপ্ন দেখত অথচ সে চেষ্টা করেও একটা স্বপ্ন দেখতে পারত না ।

সেই সময় তার প্রেমটাও ছিল উত্তাল !
ও তাকে প্রায় প্রায় প্রশ্ন করত , এই তুমি আমাকে নিয়ে কি কোন স্বপ্ন দেখনা ?
তার বান্ধবীর “সে” নাকি অনেক সুন্দর সুন্দর স্বপ্ন দেখে তার বান্ধবীকে শোনাত আর তার বান্ধবী আবার তাকে শোনাত । এখন তার বান্ধবীকে শোনানোর জন্য হলেও তাকে স্বপ্ন দেখতেই হবে ।
রাজীব ছিল মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান,বাবার পাঠানো হিসেবের টাকায় কোনমতে মাস চলে যায় তথাপি তার কাছে স্বপ্ন দেখার চাইতেও প্রেমিকা  আর তার বান্ধবীকে হোটেলে একবেলা খাওয়ানোও তার জন্য ছিল অনেক সহজ কাজ । কিন্তু প্রেমিকার একদাবী তাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতেই হবে ।
এসব ভাবতে ভাবতে হাসিঁ পায় রাজীবের !
প্রেয়সীর চাপে স্বপ্ন দেখার জন্য কি প্রানান্ত চেষ্টাটাই না সে সময় করেছে ।

ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন  জিনিসটা সত্যি রাজীবের কাছে অবাক করার একটা বিষয় এবং কিছুটা রহস্যজনকও । সে একেবারে স্বপ্ন দেখে না তা নয় কিন্তু আজ পর্যন্ত যে কবার দেখেছে পরে হুবুহু সেটাই বাস্তবে পরিনত হয়েছে ।
সমস্যাটা সেখানেই !
গতরাতে সে যা দেখেছে সেটা কি বাস্তবে সম্ভব ?
আবার ভাবে কেন সম্ভব নয় ? মন থেকে সকল দোদুল্যতাটাকে ঝেরে ফেলে রাজীব । অবশ্যই সম্ভব !!
সে যা স্বপ্নে দেখে বাস্তবে তাই ঘটে এটাই রাজীবরে স্বপ্নের স্পেশালিটি । কজনই বা পারে তার মত স্বপ্ন দেখতে ।
এসব ভাবতে ভাবতেই ফোনটা বেজে উঠে রাজীবের ।
 মায়ের ফোন ।
 উঠে দ্বাড়ায় রাজীব ,কখন যে বেলাটা গড়িয়ে গেছে টেরপায় নি,মা ফোন করাতেই মনে পড়ল বাসায় ফিরতে হবে ।

 পড়ন্ত বিকেলে বাসার উদ্দেশ্যে হাটঁতে থাকে রাজীব ,আবারও মনে  পড়ে স্বপ্নটার কথা । সেই জায়গা যেখানে প্রায় এক  বছর আগে গিয়েছিল সে, হাজার হাজার নাম না জানা অচেনা মানুষের কাধে কাঁধ মিলিয়ে গলা ফাটিঁয়ে চিৎকার করেছিল । স্লোগান দিয়েছিল !!!
  সেই জায়গায় আবারও হাজার হাজার মানুষের সাথে দাড়িঁয়ে আছে সে । সামনে ফাসিঁর মঞ্চ । আজ ফাসিঁ হবে , বিশেষ একজনের ফাসিঁ !!!

Friday, August 30, 2013

আবারও যুদ্ধ নামক অভিসাপের সম্মুখীন মধ্যপ্রাচ্য

বিশ্ব ব্যাপি আবারও বেজে উঠতে চলেছে যুদ্ধের দামামা সেই সাথে সৃষ্টি লগ্ন থেকেই জটিল সমীকরনের মুখে থাকা মধ্যপ্রাচ্য আবারও অস্খিতিশীল এক পরিস্থিতির হুমকির সম্মুখিন রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগে সিরিয়ায় আক্রমন করার জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে আমেরিকা তার পশ্চিমা দোসররা সত্যি ভাবতে অবাক লাগে , মধ্যপ্রাচ্যে হাজার হাজার নিরীহ মানুষের উপর আধুনিক অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে দিনের পর দিন অত্যাচার চালাচ্ছে যে ইসরাইল, তাদের ব্যাপারে টু শব্দটি না করলেও এবার সিরিয়ান সরকারের উপর চোখ পরেছে আমেরিকার সিরিয়া যদি সত্যি সত্যি রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেই থাকে , তবে সেটা অবশ্যই গুরুতর অভিযোগ কিন্তু একই কারনে সাদ্দামের বিরুদ্ধে সংঘটিত ইরাক যুদ্ধের পর কে আমেরিকাকে বিশ্বাস করবে বলুন ? মূলকথা হচ্ছে  দিন দিন মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার জন্য হুমকি হয়ে উঠছে বাসার এর সরকার। আমেরিকা যদিও বলছে বেসামরিক লোকজনকে বাচাঁনোর জন্যই তাদের এই আক্রমন পরিকল্পনা , কিন্তু মূল কথা হচ্ছে সিরিয়ান বিপ্লবীদের বাচাঁনোর জন্যই আমেরিকার এই আক্রমন আর আমেরিকা যে বিরোধী বিপ্লবীদের বাচাঁনোর জন্য এই আক্রমন করছে ,তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আল কায়েদার শাখা বলে পরিচিত নুসরা ফ্রন্ট সত্যি ভাবতে অবাক লাগে যে,  যারা আল-কায়েদাকে নিশ্চিন্ন করার জন্য বিশ্বের এক প্রান্তে একের পর এক ড্রোন হামলা করে নীরিহ মানুষজন কে হত্যা করছে, সেই তারাই আল-কায়েদার অপর এক অংশকে বাচাঁনোর জন্য  বিশ্বের অপর এক অংশে ব্যাপক সামড়িক অভিযানের আয়োজন করছে  এই হচ্ছে আমেরিকা তার দোসরদের দ্বি মূখী নীতি একথা এখন সত্যিই বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে যে, বিশ্বকে সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ের আড়ালে শোষন করার ক্ষেত্রে আমেরিকার মূল দোসর ব্রিটেন বা পশ্চিমা কোন রাস্ট্র নয় খোদ বরং খোদআল কায়েদা“ !!!  আমেরিকার এই আক্রমন এর ঘোষনা  দেয়ার পর থেকেই পুরো মধ্যপ্রাচ্য ধনুকের ছিলার মত টানটান হয়ে আছে কেননা আমেরিকা যে
ধরনের আক্রমন পরিকল্পনা করেছে তাতে সিরিয়ান রা তাদের টিকিটিরও দেখা নাও পেতে পারে আর বাসার সরকার যদি দেয়ালে পিঠ ঠেকা অবস্থায় জর্দান, তুরস্কের আমেরিকান ঘাটি বা ইসরাইলে আমেরিকার স্বার্থে আঘাত করে বসে তবে পরিস্থিতি হতে পারে আরো ঘোলাটে যদিও উক্ত দেশগুলোর প্রতিটিরই রয়েছে অত্যাধুনিক ক্ষেপনাস্ত্র বিরোধী ব্যবস্থা  যা আমেরিকানদেরই  সরবরাহ করা সব মিলে বলা যায় যে ,চীন এবং রাশিয়া এখন পর্যন্ত সিরিয়াকে সমর্থন দিয়ে গেলেও  আমার মনে হয় তাদের ভূমিকা সর্মথন দেয়া পর্যন্তই বরং এই যুদ্ধে কেউ যদি সিরিয়ার পাশে দ্বাড়ায় তবে  সেটা হবে তাদের বহু পুরোনো মিত্র লেবানন ভিত্তিক সংগঠন হিযবুল্লাহ ( যদিও সংগঠনটি বর্তমানে নানা সমস্যায় জর্জরিত ) আর ইরান নিজেদের সমস্যা নিয়ে এত ব্যস্ত যে ,  এর উপর চোখ রাখলেও তারা এই ঝামেলার মধ্যে নিজেদের জড়াতে  চাইবে বলে মনে হয় না বাসার একজন একনায়ক , আমি একনায়কতন্ত্রকে সমর্থনও  করিনা কিন্তু আমি একনায়কতন্ত্রকে যতটা অপছন্ন্দ করি  তার চাইতেও বেশি অপছন্দ করি বর্তমানে প্রচলিত এই আমেরিকান তন্ত্র !! যাই হোক না কেন যুদ্ধ কখনই কারও কাম্য নয় , কেননা হঠকারী কোন রাস্ট্র নায়কের কারনে একদিন হয়ত এমন কোনযুদ্ধ থেকেই সৃষ্টি হবে ৩য় বিশ্ব যুদ্ধের আর সেটা হবে এই আধুনিক বিশ্বের পতনের শুরু.....................

Wednesday, July 31, 2013

ক্রিকেট নিয়ে ভালবাসা ও কষ্টের কিছু কথা

একটা ঘটনা বলি , ধরেন আপনি কাউকে খুব ভালবাসেন তো আপনাদের দুজনের এই ভালবাসার মাঝে যদি কেউ ভিলেন হয়ে দ্বারায় আর তার জন্য আপনি ভালবাসার মানুষটিকে হারিয়ে ফেলেন,তো আপনি কষ্ট পাবেন কিন্তু ভালবাসার মানুসটি যদি নিজেই আপনাকে ফাঁকি দেয় তো আপনি আরও বেশি কষ্ট পাবেন । তেমন ফাকিঁর কারনে আমিও এখন অনেক কষ্টে ভুগছি ..........

এবারে আসি আর একটি ঘটনায় ” এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলা, আমি তখন রংপুর টিটি কলেজে একটা টেনিং এ অবস্থান করছি , ফাইনালটা দেখার জন্য মন আনচান আনচান করছিল !! দুপুরে খাবার সময় এসে পাকিস্থানের ইনিংসের শেষটা দেখলাম , তাতেই দেখা হয়ে গেল শাহাদত কান্ড !!! তখনই বলেছিলাম এই ওভারটা আমাদের ভোগাবে । এরপর ট্রেনিং শেষ করে মটরবাইকে ছুটলাম বাড়ির দিকে , উদ্দেশ্য বাংলাদেশের ২য় ইনিংস দেখা , ক্লাব থেকে বন্ধুরা বার বার ফোন দিচ্ছিল, তারাতারি আয় একসাথে খেলা দেখব । এলাকায় পৌছেঁই বাসায় না গিয়ে ক্লাবেই সবার সাথে খেলা দেখতে বসলাম । কিন্তু নাটকীয়তায় জয় আমাদের হাতের মুঠো থেকে বের হয়ে গেল । সেই সময় ক্লাবে ৩০-৩৫ জন মানুষ ছিল , কেউ কারও সাথে কথা না বলেই ১৫-২০ জন যেন কিভাবে বের হয়ে গেল , বাকি যারা ছিল কেউ কারও দিকে তাকাচ্ছিল না , শুধু লুকিয়ে চোখ কচলাচ্ছিল , প্রত্যেকেই পা্প্ত বয়স্ক কিন্তু সেদিন ক্লাবে শুধু ফোপানির শব্দ ছাড়া আমি কিছুই শুনিনি !!! এই হচ্ছে বাংলাদেশকে নিয়ে, ক্রিকেটকে নিয়ে আমার মত সাধারন মানুষের আবেগ !!!!

বাকি ঘটনা গুলাও শুনেন........... তথন আমি পুলিশ লাইন কলেজে ইন্টার ফার্স্ট ইয়ার এ পড়ি ক্রিকেট গার্ডেনে খেলা দেখতে গিয়ে Mohammad Ashraful এর সাথে প্রথম এবং একমাত্র কথা বলা , তাকে প্রশ্ন করেছিলাম শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সেই ১০০ মাড়া ব্যাটটা কোথায় , উত্তরে সে বলেছিল ঢাকায় রেখে এসছি !!! ব্যাস , এতই আমি মহা খুশি , কলেজের সব সব বন্ধুরে বলে বেড়িয়েছি সে কথা ! বলব নাই বা কেন ? বিশ্ব রেকর্ড করা ব্যাটসম্যানের সাথে কথা বলেছি কম তো নয় ??? ভাললাগাটা আরও বেশি এই কারনে যে,আমি যে বছর এস এস সি পরীক্ষা দেই সে বছরই আ্যাশ এর পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল ।সে হিসেবে তো সে আমার ইয়ারমেটও তাই না !! তাই ওরে সব সময় অনেক কাছের মানুষ মনে হয় । সব সময়ই মনে পড়ে কাছের সেই মানুষটির খেলা ইনিংসগুলো ........কার্ডিফের সেঞ্চুরি, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শ্বাসরুদ্ধকর ৯৮ ,বিশ্বকাপে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ৮৭ বা টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপে চোখের পলকেই খেলে ফেলা সেই ইনিংস অথবা ভারতের বিরুদ্ধে খেলা সেই দেড় শতকের ইনিংসটা !! হ্যাঁ জানি সে খুবই অধারাবাহিক তারপরও তাকে এত ভাল লাগে কেননা বাংলাদেশের প্রথমদিককার সব বড় জয়ে তার একক অবদান তাছাড়া সে যেদিন খেলে সেদিন শচীনকেও তার কাছে নস্যি মনে হয় !!!! মনে পড়ে তাকে সাপোর্ট করার জন্য বন্ধু . ছোট ভাইদের কত কথাই না শুনতে হয়েছে !!!

খালেদ মাহমুদ, পাকিস্থান সফরে হঠাৎ করে বাংলাদেশের ক্যাপ্টেন, টেষ্টে মারাত্মক ফাইট দেয়ার পর একটা ওয়ানডেতেও জিতে যাই যাই অবস্থা !! এমন সময় কে যেন লং অনে মিসফিল্ডিং করে একটা রান বেশি দিল ,সেদিন দেখেছিলাম মাঠেই খালেদ মাহমুদ এর সেকি রাগ !! কিন্তু রাগের চাইতেও বেশি মনে পড়ছে তার কাদোঁ কাদোঁ মুখটা , তখনই বুঝেছিলাম দেশের প্রতি, ক্রিকেটের প্রতি তার ভালবাসা ।

খালেদ মাসুদ পাইলট , যতদিন খেলেছিলেন সবসময় তার দায়িত্ব পড়ত দে্শের সম্মান বাচাঁনোর আর সে কাজে তিনি বেশির ভাগ সময়ই সফল সে ব্যাপারে আমার সাথে অনেকেই একমত হবেন । শুধু তাই নয় বাংলাদেশের ক্রিকেটে ৩ জন মানুষের ক্রিকেট মস্তিস্ককে আমি সব সময় সম্মান করি একজন হচ্ছেন বর্তমান অধিনায়ক মুশি আর বাকি ২ জন মাসুদ এবং মাহমুদ ।

মোহাম্মদ রফিক , কি অমায়িক একজন মানুষ !! দল যখন বিপদে সব সময় অধিনায়কের আস্থা ছিলেন রফিক ভাই , তখন মনে হত ইসস ! ওয়ানডেতেও একজন বোলার কেন যত খুশি তত বল করতে পারবে না ? পারলেতো আমরা রফিকরে দিয়ে পুরা ৫০ ওভারই বল করাইতাম !!! শুধু এটাই না আমি মনে করি এখন পর্যন্ত বিশ্বের শ্রেষ্ট বাঁহাতি স্পিনার এর নাম মোহাম্মদ রফিক , হ্যাঁ ভেট্টোরির কথা মনে থাকা স্বত্তেও !! মনে রাখবেন উনি শুধু ভাল বল করতেন তাই না , খেলেছিলেন বাংলাদেশ নামক একটা দেশের হয়ে , যখন দেশটা্ ক্রিকেটে কেবলই শিশু !!!

এদের সবার নামেই ম্যাচ ফিক্সিং এর অভিযোগ উঠেছে । বিশ্সাস করতে কষ্ট হয় কিন্তু উড়িয়েও দিতে পারছি না কেননা রিপোর্টটা প্রকাশিত হয়েছে প্রথম আলো নামক একটা পত্রিকায় ! আর তা লিখেছেন উৎপল শুভ্র নামের একজন রিপোর্টার যিনি নিজে এবং এই পত্রিকাটি সব সময় আশরাফুলকে সাপোর্ট দিয়ে গেছেন এমনকি তার চরম দুঃসময়েও ( আমার মনে হয় শুভ্রদা প্রথমে আশরাফুলে একজন ফ্যান তার পর ক্রিড়া লিখিয়ে ) এতকিছুর পরও আমি চাই রিপোর্ট টা মিথ্যা হোক , মিথ্যা হোক সবকিছু। ‍আমি ভুলে যেতে চাই ক্যালেন্ডার এর গত ১ মাসের সবগুলো দিন !!! কিন্তু যদি সত্য হয় তবে কি হবে ?? যদি সত্যই হয় আমি চাই শাস্তি হোক আশরাফুলদের ,শাস্তি তাদের প্রাপ্য কিন্তু তারপরও ভুলে যাব না তোমাদের , ছোটবেলা থেকেই বইয়ে পড়েছি পাপকে ঘৃনা কর পাপীকে নয় । তাই তোমাদের পাপটাকেই ঘৃনা করতে চাই তোমাদেরকে নয় !!! এ গেল আবেগের কথা যুক্তির কিছু কথাও আছে । তবে অত যুক্তিতে যাব না , আকসু কে শুধু বলব , একা আশরাফুলের পক্ষে একটা গোটা একটা ম্যাচ ফিক্সিং করা সম্ভব নয় । তাছাড়া সে নিয়মিত অধিনায়কও ছিল না , তাই ভাল করে খোঁজ নিন ,নিয়মিত অধিনায়ককে বসিয়ে কে তারে ওই ম্যাচটাতে অধিনায়ক বানিয়ে দিল ?? পাইলেও পাইতে পারেন অমুল্য (অজানা) কিছু .....

Monday, July 22, 2013

স্বপ্নের টাঙ্গুয়ার হাওড়

এইটা একটা স্বপ্ন বিষয়ক পোষ্ট , যদিও এই সব স্বপ্ন টপ্ন কেন জানি আমার আসে না ! তাছাড়া আমি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখার চাইতে দিনের বেলা জেগে স্বপ্ন দেখতেই পছন্দ করি, কেননা এইটা বাস্তব হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি । একটা সময় ছিল মানুষের স্বপ্নের গল্প শুনতে শুনতে আমি “মানুষ কেন স্বপ্ন দেখে “ এই জাতীয় বিষয় পড়ে যে জ্ঞান লাভ করেছিলাম তার প্রয়োগও করার চেষ্টা করছিলাম !!!! রীতিমত প্রাকটিস ম্যাচ খেলে আসল ম্যাচের অপেক্ষায় থাকার মত । কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও আমি স্বপ্ন দেখিনি , হ্যাঁ মাঝে মাঝে টুকটাক, ছোট স্বপ্ন দেখেছি বটে কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠে যখন মনে করার চেষ্টা করেছি , তখন দেখি মাথা পুরাই empty !!!! এটা নিয়েও মজার ঘটনা আছে , স্বপ্ন দেখে হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে গেছে , সাথে সাথে মোবাইল এর মেসেজ অপশনে যা মনে আছে শর্টহ্যান্ডে লিখে রেখেছি কারন সকাল বেলা তো আবার সেটা মনে থাকবে না !!!
যাইহোক গতরাতে আমি অনেক লম্বা একটা স্বপ্ন দেখেছি এবং সেটা কেন জানি খুব সুন্দর ভাবে মনে আছে । আসলে গত কয়েকদিন থেকে মনটা কিছুটা বিক্ষিপ্ত , বাবা মা দুজনই অসুস্থ্য !!! কর্মস্থলে কাজের চাপ,পারিবারিক টেনশন আর সামাজিক কিছু বিষয় নিয়ে চাপটা কাটানোর জন্য গতকাল বেশকিছু সময় বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিলাম । কয়েকঘন্টার নির্মল সেই আড্ডাটা সত্যিই মনটা কিছুটা হালকা করে দিয়েছে । সেই সাথে গতরাতে আমার প্রিয় একজন মানুষ পানির রাজ্য টাঙ্গুয়ার হাওড়ে বেরাতে যাওয়ার একটা “ট্যুর প্লান” ঘোষনা করেছে , আমি অনেকদিন থেকেই সেখানে যেতে চাচ্ছি তাই এইটা দেখার পর আরও excited হয়ে গেছিলাম । সবমিলে জগাখিচুরি মার্কা একটা স্বপ্ন !!! ভাবছেন স্বপ্নে কি দেখলাম সেটা নিয়ে আপনাদের সামনে প্যাচাল পারছি কেন ? স্বপ্ন নিয়ে এত কথা বলছি শুধুমাত্র একটা অনুভুতি শেয়ার করার জন্য .. গতরাতের অনেক দৃশ্যই মনে আছে কিন্তু “ নৌকার পাটাতনে দুইদিকে ২ হাত মেলে শুয়ে আছি আমি , উপরে নীল আকাশ নীচে সাদা পানি , চারিদিকে যেদিকেই তাকাই শুধু পানি আর পানি ,পানি আর পানি..............এই দৃশ্যটা আমি কোন মতেই ভুলতে পারছি না । অপেক্ষায় আছি বাস্তবে সেই রকম একটা দৃশ্যের জন্য !!!

সুন্দর বন ধ্বংস নাকি নিজেদের ভবিষৎ ধ্বংস ?

বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ , নদী আর বন এদেশের উপকূলীয় মানুষের জীবন যাত্রার সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত । সৃন্দরবন শুধু যে আমাদের প্রয়োজনীয় অক্সিজেন , মধু, মৎস, আর কাঠ প্রদান করছে তাই নয় , দেশের জীব বৈচিত্র্য আর নানারুপ প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে বাংলাদেশ এবং এর জনগনকে রক্ষায় ঢাল হিসেবে কাজ করছে পৃথিবীর বৃহত্তম এই ম্যানগ্রোভ বন ।যেটা আমরা বুঝেছি কিছুদিন আগে ঘটে যাওয়া সিডর এর সময় , সুন্দর বন না থাকলে সিডর যে আমাদের কি পরিমান ক্ষতি করতে পারত তা কল্পনা করাও দুস্কর । বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে গাছ আর বন আমাদের কতটা প্রয়োজনীয় এবং ভবিষৎ পৃথিবীকে রক্ষায় এর গুরত্বই বা কতটুক এটা বোঝার জন্য পরিবেশবিদ হতে হয় না । কিন্তু বর্তমান সরকার পরিবেশবাদীদের নানা বাধা আর সাধারন জনগনের আন্দোলন ও বিরোধিতা স্বত্তেও সুন্দরবন ধ্বংসের পিছনে ছুটেই চলেছে এবং একথা বলতে কোন বাধা নেই যে , সরকার দেশ ও পরিবেশ এর কথা চিন্তা না করে শুধুমাত্র ব্যক্তিস্বার্থের কথা চিন্তা করেই এটা করছে । সুন্দরবনের এক পাশে বাগেরহাটের রামপালে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মানের মত বন ধ্বংসকারী হঠকারী সিদ্ধান্ত এর ব্যাপারে আন্দোলন চলাকালীন সময়েই সুন্দরবন অপরপাশে বলেশ্বর নদের তীরে শুরু করেছে পরিবেশের জন্য মারাত্মক দূষনকারী হিসেবে বিবেচিত জাহাজভাঙা শিল্প স্থাপন এর কাজ । বন আইন, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন এবং বাংলাদেশ স্বাক্ষরিত জাতিসংঘের রামসার কনভেনশন অনুযায়ী, সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে কোনো শিল্পকারখানা, ভারী ইমারত ও স্থাপনা নির্মাণ নিষিদ্ধ অথচ প্রস্তাবিত এই জাহাজভাঙা ইয়ার্ড স্থাপনের জায়গাটি থেকে সুন্দরবনের দূরত্ব মাত্র ছয় কিলোমিটার। সরকারেই দুটি প্রতিষ্ঠান , পরিবেশ অধিদপ্তর ও বনবিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘পরিবেশগত বিরূপ প্রভাব বিবেচনায় প্রতিবেশগত গুরুত্বপূর্ণ তথা ইকোলজিক্যালি ক্রিটিক্যাল এরিয়া (ইসিএ) বলেশ্বর নদের তীরকে জাহাজভাঙা শিল্পের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্বাচন করা সমীচীন হবে না।’ অধিদপ্তরের চিঠিতে বলা হয়, ২০১০ সালে পরিবেশ অধিদপ্তর জাতীয় জীববৈচিত্র্য মূল্যায়ন ও কর্মপরিকল্পনা-২০২০ তৈরি করেছে। তাতে মৎস্য সম্পদ ও জীববৈচিত্র্যের আধার হিসেবে বলেশ্বর নদের মোহনাকে সংরক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এসব বিবেচনা করে এখানে জাহাজভাঙা শিল্প স্থাপন না করার পক্ষে পরিবেশ অধিদপ্তর।
বন বিভাগের আপত্তিপত্রে বলা হয়, পাথরঘাটা ও এর পার্শ্ববর্তী সুন্দরবনে প্রায় ৬০ প্রজাতির বন্য প্রাণী রয়েছে। এ ছাড়া নির্বাচিত এলাকায় পাঁচ-ছয় কিলোমিটার পশ্চিমে সুন্দরবনের অবস্থান। জাহাজভাঙা শিল্প স্থাপিত হলে ব্যাপক হারে পানি, বায়ু ও শব্দদূষণের কবলে পড়বে সাগর ও সুন্দরবন। সরকারের নিজস্ব দুটি প্রতিষ্ঠান পরিবেশ অধিদপ্তর ও বন মন্ত্রনালয় যেখানে এই প্রকল্পের বিরোধীতা করেছে সেখানে শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া ও স্থানীয় সাংসদ গোলাম সবুর দিব্যি এর পক্ষে সাফাই গাইছেন । তারা বলছেন, বলেশ্বরতীরে ‘পরিবেশবান্ধব জাহাজভাঙা শিল্প’ স্থাপন করা হবে । বাংলাদেশের জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প কতটা পরিবেশ বান্ধব তা বোঝা যায় , জাহাজভাঙা শিল্প পর্যবেক্ষণকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা শিপব্রেকিং প্ল্যাটফর্ম-এর বাংলাদেশ শাখার সমন্বয়কারী মোহাম্মদ আলী কথায় তিনি বলেছেন , ” সীতাকুণ্ডে অবস্থিত জাহাজভাঙার ঘাটগুলোকে এখনো সরকার পরিবেশবান্ধব করতে পারেনি। তারা নিয়মিতভাবে উপকূলীয় এলাকা ও বঙ্গোপসাগর দূষণ করে যাচ্ছে। এখন সুন্দরবনের পাশে যদি এ শিল্প স্থাপিত হয়, তাহলে সুন্দরবন দূষণের হুমকিতে পড়বে। “এত কিছুর পরও শিল্পমন্ত্রী বলেছেন যে,এটা সুন্দরবনের পরিবেশের কোন ক্ষতি করবে না । তিনি যদি পরিবেশ সম্পর্কে এতই বোঝেন তো শিল্প মম্ত্রণালয়ে কেন ? আর সরকারই বা কেন অযথা পরিবেশ অধিদপ্তর নামক একটা অধিদপ্তর খুলে রেখেছে ? এই ম্যাসিভ ইনভারোয়েনমেন্টাল ডেসট্রাকশন এর হঠকারী সিদ্ধান্তের প্রভাব শুধু আমাদের উপকুলীয় ভাইদের জীবন যাত্রার উপরই নয় , আমাদের ভবিষৎ প্রজন্মের উপরও পরতে বাধ্য তাই পরিবেশ বাদীদের সাথে সাধারন মানুষেরও উচিত এই প্রকল্পের বিরোধিতা করা ।