বাংলাদেশ
নদীমাতৃক দেশ , নদী আর বন এদেশের উপকূলীয় মানুষের জীবন যাত্রার সাথে
ওতপ্রোত ভাবে জড়িত । সৃন্দরবন শুধু যে আমাদের প্রয়োজনীয় অক্সিজেন , মধু,
মৎস, আর কাঠ প্রদান করছে তাই নয় , দেশের জীব বৈচিত্র্য আর নানারুপ
প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে বাংলাদেশ এবং এর জনগনকে রক্ষায় ঢাল হিসেবে কাজ করছে
পৃথিবীর বৃহত্তম এই ম্যানগ্রোভ বন ।যেটা আমরা বুঝেছি কিছুদিন আগে ঘটে
যাওয়া সিডর এর সময় , সুন্দর বন না থাকলে সিডর যে আমাদের
কি পরিমান ক্ষতি করতে পারত তা কল্পনা করাও দুস্কর । বর্তমান
পরিপ্রেক্ষিতে গাছ আর বন আমাদের কতটা প্রয়োজনীয় এবং ভবিষৎ পৃথিবীকে রক্ষায়
এর গুরত্বই বা কতটুক এটা বোঝার জন্য পরিবেশবিদ হতে হয় না । কিন্তু
বর্তমান সরকার পরিবেশবাদীদের নানা বাধা আর সাধারন জনগনের আন্দোলন ও
বিরোধিতা স্বত্তেও সুন্দরবন ধ্বংসের পিছনে ছুটেই চলেছে এবং একথা বলতে কোন
বাধা নেই যে , সরকার দেশ ও পরিবেশ এর কথা চিন্তা না করে শুধুমাত্র
ব্যক্তিস্বার্থের কথা চিন্তা করেই এটা করছে । সুন্দরবনের এক পাশে
বাগেরহাটের রামপালে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মানের মত বন ধ্বংসকারী হঠকারী
সিদ্ধান্ত এর ব্যাপারে আন্দোলন চলাকালীন সময়েই সুন্দরবন অপরপাশে বলেশ্বর
নদের তীরে শুরু করেছে পরিবেশের জন্য মারাত্মক দূষনকারী হিসেবে বিবেচিত
জাহাজভাঙা শিল্প স্থাপন এর কাজ । বন আইন, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন এবং বাংলাদেশ
স্বাক্ষরিত জাতিসংঘের রামসার কনভেনশন অনুযায়ী, সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটার
এলাকার মধ্যে কোনো শিল্পকারখানা, ভারী ইমারত ও স্থাপনা নির্মাণ নিষিদ্ধ অথচ
প্রস্তাবিত এই জাহাজভাঙা ইয়ার্ড স্থাপনের জায়গাটি থেকে সুন্দরবনের দূরত্ব
মাত্র ছয় কিলোমিটার। সরকারেই দুটি প্রতিষ্ঠান , পরিবেশ অধিদপ্তর ও
বনবিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘পরিবেশগত বিরূপ প্রভাব বিবেচনায়
প্রতিবেশগত গুরুত্বপূর্ণ তথা ইকোলজিক্যালি ক্রিটিক্যাল এরিয়া (ইসিএ)
বলেশ্বর নদের তীরকে জাহাজভাঙা শিল্পের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্বাচন
করা সমীচীন হবে না।’ অধিদপ্তরের চিঠিতে বলা হয়, ২০১০ সালে পরিবেশ অধিদপ্তর
জাতীয় জীববৈচিত্র্য মূল্যায়ন ও কর্মপরিকল্পনা-২০২০ তৈরি করেছে। তাতে মৎস্য
সম্পদ ও জীববৈচিত্র্যের আধার হিসেবে বলেশ্বর নদের মোহনাকে সংরক্ষণ করার
সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এসব বিবেচনা করে এখানে জাহাজভাঙা শিল্প স্থাপন না
করার পক্ষে পরিবেশ অধিদপ্তর।
বন বিভাগের আপত্তিপত্রে বলা হয়, পাথরঘাটা ও এর পার্শ্ববর্তী সুন্দরবনে প্রায় ৬০ প্রজাতির বন্য প্রাণী রয়েছে। এ ছাড়া নির্বাচিত এলাকায় পাঁচ-ছয় কিলোমিটার পশ্চিমে সুন্দরবনের অবস্থান। জাহাজভাঙা শিল্প স্থাপিত হলে ব্যাপক হারে পানি, বায়ু ও শব্দদূষণের কবলে পড়বে সাগর ও সুন্দরবন। সরকারের নিজস্ব দুটি প্রতিষ্ঠান পরিবেশ অধিদপ্তর ও বন মন্ত্রনালয় যেখানে এই প্রকল্পের বিরোধীতা করেছে সেখানে শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া ও স্থানীয় সাংসদ গোলাম সবুর দিব্যি এর পক্ষে সাফাই গাইছেন । তারা বলছেন, বলেশ্বরতীরে ‘পরিবেশবান্ধব জাহাজভাঙা শিল্প’ স্থাপন করা হবে । বাংলাদেশের জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প কতটা পরিবেশ বান্ধব তা বোঝা যায় , জাহাজভাঙা শিল্প পর্যবেক্ষণকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা শিপব্রেকিং প্ল্যাটফর্ম-এর বাংলাদেশ শাখার সমন্বয়কারী মোহাম্মদ আলী কথায় তিনি বলেছেন , ” সীতাকুণ্ডে অবস্থিত জাহাজভাঙার ঘাটগুলোকে এখনো সরকার পরিবেশবান্ধব করতে পারেনি। তারা নিয়মিতভাবে উপকূলীয় এলাকা ও বঙ্গোপসাগর দূষণ করে যাচ্ছে। এখন সুন্দরবনের পাশে যদি এ শিল্প স্থাপিত হয়, তাহলে সুন্দরবন দূষণের হুমকিতে পড়বে। “এত কিছুর পরও শিল্পমন্ত্রী বলেছেন যে,এটা সুন্দরবনের পরিবেশের কোন ক্ষতি করবে না । তিনি যদি পরিবেশ সম্পর্কে এতই বোঝেন তো শিল্প মম্ত্রণালয়ে কেন ? আর সরকারই বা কেন অযথা পরিবেশ অধিদপ্তর নামক একটা অধিদপ্তর খুলে রেখেছে ? এই ম্যাসিভ ইনভারোয়েনমেন্টাল ডেসট্রাকশন এর হঠকারী সিদ্ধান্তের প্রভাব শুধু আমাদের উপকুলীয় ভাইদের জীবন যাত্রার উপরই নয় , আমাদের ভবিষৎ প্রজন্মের উপরও পরতে বাধ্য তাই পরিবেশ বাদীদের সাথে সাধারন মানুষেরও উচিত এই প্রকল্পের বিরোধিতা করা ।
বন বিভাগের আপত্তিপত্রে বলা হয়, পাথরঘাটা ও এর পার্শ্ববর্তী সুন্দরবনে প্রায় ৬০ প্রজাতির বন্য প্রাণী রয়েছে। এ ছাড়া নির্বাচিত এলাকায় পাঁচ-ছয় কিলোমিটার পশ্চিমে সুন্দরবনের অবস্থান। জাহাজভাঙা শিল্প স্থাপিত হলে ব্যাপক হারে পানি, বায়ু ও শব্দদূষণের কবলে পড়বে সাগর ও সুন্দরবন। সরকারের নিজস্ব দুটি প্রতিষ্ঠান পরিবেশ অধিদপ্তর ও বন মন্ত্রনালয় যেখানে এই প্রকল্পের বিরোধীতা করেছে সেখানে শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া ও স্থানীয় সাংসদ গোলাম সবুর দিব্যি এর পক্ষে সাফাই গাইছেন । তারা বলছেন, বলেশ্বরতীরে ‘পরিবেশবান্ধব জাহাজভাঙা শিল্প’ স্থাপন করা হবে । বাংলাদেশের জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প কতটা পরিবেশ বান্ধব তা বোঝা যায় , জাহাজভাঙা শিল্প পর্যবেক্ষণকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা শিপব্রেকিং প্ল্যাটফর্ম-এর বাংলাদেশ শাখার সমন্বয়কারী মোহাম্মদ আলী কথায় তিনি বলেছেন , ” সীতাকুণ্ডে অবস্থিত জাহাজভাঙার ঘাটগুলোকে এখনো সরকার পরিবেশবান্ধব করতে পারেনি। তারা নিয়মিতভাবে উপকূলীয় এলাকা ও বঙ্গোপসাগর দূষণ করে যাচ্ছে। এখন সুন্দরবনের পাশে যদি এ শিল্প স্থাপিত হয়, তাহলে সুন্দরবন দূষণের হুমকিতে পড়বে। “এত কিছুর পরও শিল্পমন্ত্রী বলেছেন যে,এটা সুন্দরবনের পরিবেশের কোন ক্ষতি করবে না । তিনি যদি পরিবেশ সম্পর্কে এতই বোঝেন তো শিল্প মম্ত্রণালয়ে কেন ? আর সরকারই বা কেন অযথা পরিবেশ অধিদপ্তর নামক একটা অধিদপ্তর খুলে রেখেছে ? এই ম্যাসিভ ইনভারোয়েনমেন্টাল ডেসট্রাকশন এর হঠকারী সিদ্ধান্তের প্রভাব শুধু আমাদের উপকুলীয় ভাইদের জীবন যাত্রার উপরই নয় , আমাদের ভবিষৎ প্রজন্মের উপরও পরতে বাধ্য তাই পরিবেশ বাদীদের সাথে সাধারন মানুষেরও উচিত এই প্রকল্পের বিরোধিতা করা ।
No comments:
Post a Comment