একটা
ঘটনা বলি , ধরেন আপনি কাউকে খুব ভালবাসেন তো আপনাদের দুজনের এই ভালবাসার
মাঝে যদি কেউ ভিলেন হয়ে দ্বারায় আর তার জন্য আপনি ভালবাসার মানুষটিকে
হারিয়ে ফেলেন,তো আপনি কষ্ট পাবেন কিন্তু ভালবাসার মানুসটি যদি নিজেই আপনাকে
ফাঁকি দেয় তো আপনি আরও বেশি কষ্ট পাবেন । তেমন ফাকিঁর কারনে আমিও এখন অনেক
কষ্টে ভুগছি ..........
এবারে আসি আর একটি ঘটনায় ” এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলা, আমি তখন রংপুর টিটি কলেজে একটা টেনিং এ অবস্থান করছি , ফাইনালটা দেখার জন্য মন আনচান আনচান করছিল !! দুপুরে খাবার সময় এসে পাকিস্থানের ইনিংসের শেষটা দেখলাম , তাতেই দেখা হয়ে গেল শাহাদত কান্ড !!! তখনই বলেছিলাম এই ওভারটা আমাদের ভোগাবে । এরপর ট্রেনিং শেষ করে মটরবাইকে ছুটলাম বাড়ির দিকে , উদ্দেশ্য বাংলাদেশের ২য় ইনিংস দেখা , ক্লাব থেকে বন্ধুরা বার বার ফোন দিচ্ছিল, তারাতারি আয় একসাথে খেলা দেখব । এলাকায় পৌছেঁই বাসায় না গিয়ে ক্লাবেই সবার সাথে খেলা দেখতে বসলাম । কিন্তু নাটকীয়তায় জয় আমাদের হাতের মুঠো থেকে বের হয়ে গেল । সেই সময় ক্লাবে ৩০-৩৫ জন মানুষ ছিল , কেউ কারও সাথে কথা না বলেই ১৫-২০ জন যেন কিভাবে বের হয়ে গেল , বাকি যারা ছিল কেউ কারও দিকে তাকাচ্ছিল না , শুধু লুকিয়ে চোখ কচলাচ্ছিল , প্রত্যেকেই পা্প্ত বয়স্ক কিন্তু সেদিন ক্লাবে শুধু ফোপানির শব্দ ছাড়া আমি কিছুই শুনিনি !!! এই হচ্ছে বাংলাদেশকে নিয়ে, ক্রিকেটকে নিয়ে আমার মত সাধারন মানুষের আবেগ !!!!
বাকি ঘটনা গুলাও শুনেন........... তথন আমি পুলিশ লাইন কলেজে ইন্টার ফার্স্ট ইয়ার এ পড়ি ক্রিকেট গার্ডেনে খেলা দেখতে গিয়ে Mohammad Ashraful এর সাথে প্রথম এবং একমাত্র কথা বলা , তাকে প্রশ্ন করেছিলাম শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সেই ১০০ মাড়া ব্যাটটা কোথায় , উত্তরে সে বলেছিল ঢাকায় রেখে এসছি !!! ব্যাস , এতই আমি মহা খুশি , কলেজের সব সব বন্ধুরে বলে বেড়িয়েছি সে কথা ! বলব নাই বা কেন ? বিশ্ব রেকর্ড করা ব্যাটসম্যানের সাথে কথা বলেছি কম তো নয় ??? ভাললাগাটা আরও বেশি এই কারনে যে,আমি যে বছর এস এস সি পরীক্ষা দেই সে বছরই আ্যাশ এর পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল ।সে হিসেবে তো সে আমার ইয়ারমেটও তাই না !! তাই ওরে সব সময় অনেক কাছের মানুষ মনে হয় । সব সময়ই মনে পড়ে কাছের সেই মানুষটির খেলা ইনিংসগুলো ........কার্ডিফের সেঞ্চুরি, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শ্বাসরুদ্ধকর ৯৮ ,বিশ্বকাপে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ৮৭ বা টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপে চোখের পলকেই খেলে ফেলা সেই ইনিংস অথবা ভারতের বিরুদ্ধে খেলা সেই দেড় শতকের ইনিংসটা !! হ্যাঁ জানি সে খুবই অধারাবাহিক তারপরও তাকে এত ভাল লাগে কেননা বাংলাদেশের প্রথমদিককার সব বড় জয়ে তার একক অবদান তাছাড়া সে যেদিন খেলে সেদিন শচীনকেও তার কাছে নস্যি মনে হয় !!!! মনে পড়ে তাকে সাপোর্ট করার জন্য বন্ধু . ছোট ভাইদের কত কথাই না শুনতে হয়েছে !!!
খালেদ মাহমুদ, পাকিস্থান সফরে হঠাৎ করে বাংলাদেশের ক্যাপ্টেন, টেষ্টে মারাত্মক ফাইট দেয়ার পর একটা ওয়ানডেতেও জিতে যাই যাই অবস্থা !! এমন সময় কে যেন লং অনে মিসফিল্ডিং করে একটা রান বেশি দিল ,সেদিন দেখেছিলাম মাঠেই খালেদ মাহমুদ এর সেকি রাগ !! কিন্তু রাগের চাইতেও বেশি মনে পড়ছে তার কাদোঁ কাদোঁ মুখটা , তখনই বুঝেছিলাম দেশের প্রতি, ক্রিকেটের প্রতি তার ভালবাসা ।
খালেদ মাসুদ পাইলট , যতদিন খেলেছিলেন সবসময় তার দায়িত্ব পড়ত দে্শের সম্মান বাচাঁনোর আর সে কাজে তিনি বেশির ভাগ সময়ই সফল সে ব্যাপারে আমার সাথে অনেকেই একমত হবেন । শুধু তাই নয় বাংলাদেশের ক্রিকেটে ৩ জন মানুষের ক্রিকেট মস্তিস্ককে আমি সব সময় সম্মান করি একজন হচ্ছেন বর্তমান অধিনায়ক মুশি আর বাকি ২ জন মাসুদ এবং মাহমুদ ।
মোহাম্মদ রফিক , কি অমায়িক একজন মানুষ !! দল যখন বিপদে সব সময় অধিনায়কের আস্থা ছিলেন রফিক ভাই , তখন মনে হত ইসস ! ওয়ানডেতেও একজন বোলার কেন যত খুশি তত বল করতে পারবে না ? পারলেতো আমরা রফিকরে দিয়ে পুরা ৫০ ওভারই বল করাইতাম !!! শুধু এটাই না আমি মনে করি এখন পর্যন্ত বিশ্বের শ্রেষ্ট বাঁহাতি স্পিনার এর নাম মোহাম্মদ রফিক , হ্যাঁ ভেট্টোরির কথা মনে থাকা স্বত্তেও !! মনে রাখবেন উনি শুধু ভাল বল করতেন তাই না , খেলেছিলেন বাংলাদেশ নামক একটা দেশের হয়ে , যখন দেশটা্ ক্রিকেটে কেবলই শিশু !!!
এদের সবার নামেই ম্যাচ ফিক্সিং এর অভিযোগ উঠেছে । বিশ্সাস করতে কষ্ট হয় কিন্তু উড়িয়েও দিতে পারছি না কেননা রিপোর্টটা প্রকাশিত হয়েছে প্রথম আলো নামক একটা পত্রিকায় ! আর তা লিখেছেন উৎপল শুভ্র নামের একজন রিপোর্টার যিনি নিজে এবং এই পত্রিকাটি সব সময় আশরাফুলকে সাপোর্ট দিয়ে গেছেন এমনকি তার চরম দুঃসময়েও ( আমার মনে হয় শুভ্রদা প্রথমে আশরাফুলে একজন ফ্যান তার পর ক্রিড়া লিখিয়ে ) এতকিছুর পরও আমি চাই রিপোর্ট টা মিথ্যা হোক , মিথ্যা হোক সবকিছু। আমি ভুলে যেতে চাই ক্যালেন্ডার এর গত ১ মাসের সবগুলো দিন !!! কিন্তু যদি সত্য হয় তবে কি হবে ?? যদি সত্যই হয় আমি চাই শাস্তি হোক আশরাফুলদের ,শাস্তি তাদের প্রাপ্য কিন্তু তারপরও ভুলে যাব না তোমাদের , ছোটবেলা থেকেই বইয়ে পড়েছি পাপকে ঘৃনা কর পাপীকে নয় । তাই তোমাদের পাপটাকেই ঘৃনা করতে চাই তোমাদেরকে নয় !!! এ গেল আবেগের কথা যুক্তির কিছু কথাও আছে । তবে অত যুক্তিতে যাব না , আকসু কে শুধু বলব , একা আশরাফুলের পক্ষে একটা গোটা একটা ম্যাচ ফিক্সিং করা সম্ভব নয় । তাছাড়া সে নিয়মিত অধিনায়কও ছিল না , তাই ভাল করে খোঁজ নিন ,নিয়মিত অধিনায়ককে বসিয়ে কে তারে ওই ম্যাচটাতে অধিনায়ক বানিয়ে দিল ?? পাইলেও পাইতে পারেন অমুল্য (অজানা) কিছু .....
এবারে আসি আর একটি ঘটনায় ” এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলা, আমি তখন রংপুর টিটি কলেজে একটা টেনিং এ অবস্থান করছি , ফাইনালটা দেখার জন্য মন আনচান আনচান করছিল !! দুপুরে খাবার সময় এসে পাকিস্থানের ইনিংসের শেষটা দেখলাম , তাতেই দেখা হয়ে গেল শাহাদত কান্ড !!! তখনই বলেছিলাম এই ওভারটা আমাদের ভোগাবে । এরপর ট্রেনিং শেষ করে মটরবাইকে ছুটলাম বাড়ির দিকে , উদ্দেশ্য বাংলাদেশের ২য় ইনিংস দেখা , ক্লাব থেকে বন্ধুরা বার বার ফোন দিচ্ছিল, তারাতারি আয় একসাথে খেলা দেখব । এলাকায় পৌছেঁই বাসায় না গিয়ে ক্লাবেই সবার সাথে খেলা দেখতে বসলাম । কিন্তু নাটকীয়তায় জয় আমাদের হাতের মুঠো থেকে বের হয়ে গেল । সেই সময় ক্লাবে ৩০-৩৫ জন মানুষ ছিল , কেউ কারও সাথে কথা না বলেই ১৫-২০ জন যেন কিভাবে বের হয়ে গেল , বাকি যারা ছিল কেউ কারও দিকে তাকাচ্ছিল না , শুধু লুকিয়ে চোখ কচলাচ্ছিল , প্রত্যেকেই পা্প্ত বয়স্ক কিন্তু সেদিন ক্লাবে শুধু ফোপানির শব্দ ছাড়া আমি কিছুই শুনিনি !!! এই হচ্ছে বাংলাদেশকে নিয়ে, ক্রিকেটকে নিয়ে আমার মত সাধারন মানুষের আবেগ !!!!
বাকি ঘটনা গুলাও শুনেন........... তথন আমি পুলিশ লাইন কলেজে ইন্টার ফার্স্ট ইয়ার এ পড়ি ক্রিকেট গার্ডেনে খেলা দেখতে গিয়ে Mohammad Ashraful এর সাথে প্রথম এবং একমাত্র কথা বলা , তাকে প্রশ্ন করেছিলাম শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সেই ১০০ মাড়া ব্যাটটা কোথায় , উত্তরে সে বলেছিল ঢাকায় রেখে এসছি !!! ব্যাস , এতই আমি মহা খুশি , কলেজের সব সব বন্ধুরে বলে বেড়িয়েছি সে কথা ! বলব নাই বা কেন ? বিশ্ব রেকর্ড করা ব্যাটসম্যানের সাথে কথা বলেছি কম তো নয় ??? ভাললাগাটা আরও বেশি এই কারনে যে,আমি যে বছর এস এস সি পরীক্ষা দেই সে বছরই আ্যাশ এর পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল ।সে হিসেবে তো সে আমার ইয়ারমেটও তাই না !! তাই ওরে সব সময় অনেক কাছের মানুষ মনে হয় । সব সময়ই মনে পড়ে কাছের সেই মানুষটির খেলা ইনিংসগুলো ........কার্ডিফের সেঞ্চুরি, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শ্বাসরুদ্ধকর ৯৮ ,বিশ্বকাপে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ৮৭ বা টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপে চোখের পলকেই খেলে ফেলা সেই ইনিংস অথবা ভারতের বিরুদ্ধে খেলা সেই দেড় শতকের ইনিংসটা !! হ্যাঁ জানি সে খুবই অধারাবাহিক তারপরও তাকে এত ভাল লাগে কেননা বাংলাদেশের প্রথমদিককার সব বড় জয়ে তার একক অবদান তাছাড়া সে যেদিন খেলে সেদিন শচীনকেও তার কাছে নস্যি মনে হয় !!!! মনে পড়ে তাকে সাপোর্ট করার জন্য বন্ধু . ছোট ভাইদের কত কথাই না শুনতে হয়েছে !!!
খালেদ মাহমুদ, পাকিস্থান সফরে হঠাৎ করে বাংলাদেশের ক্যাপ্টেন, টেষ্টে মারাত্মক ফাইট দেয়ার পর একটা ওয়ানডেতেও জিতে যাই যাই অবস্থা !! এমন সময় কে যেন লং অনে মিসফিল্ডিং করে একটা রান বেশি দিল ,সেদিন দেখেছিলাম মাঠেই খালেদ মাহমুদ এর সেকি রাগ !! কিন্তু রাগের চাইতেও বেশি মনে পড়ছে তার কাদোঁ কাদোঁ মুখটা , তখনই বুঝেছিলাম দেশের প্রতি, ক্রিকেটের প্রতি তার ভালবাসা ।
খালেদ মাসুদ পাইলট , যতদিন খেলেছিলেন সবসময় তার দায়িত্ব পড়ত দে্শের সম্মান বাচাঁনোর আর সে কাজে তিনি বেশির ভাগ সময়ই সফল সে ব্যাপারে আমার সাথে অনেকেই একমত হবেন । শুধু তাই নয় বাংলাদেশের ক্রিকেটে ৩ জন মানুষের ক্রিকেট মস্তিস্ককে আমি সব সময় সম্মান করি একজন হচ্ছেন বর্তমান অধিনায়ক মুশি আর বাকি ২ জন মাসুদ এবং মাহমুদ ।
মোহাম্মদ রফিক , কি অমায়িক একজন মানুষ !! দল যখন বিপদে সব সময় অধিনায়কের আস্থা ছিলেন রফিক ভাই , তখন মনে হত ইসস ! ওয়ানডেতেও একজন বোলার কেন যত খুশি তত বল করতে পারবে না ? পারলেতো আমরা রফিকরে দিয়ে পুরা ৫০ ওভারই বল করাইতাম !!! শুধু এটাই না আমি মনে করি এখন পর্যন্ত বিশ্বের শ্রেষ্ট বাঁহাতি স্পিনার এর নাম মোহাম্মদ রফিক , হ্যাঁ ভেট্টোরির কথা মনে থাকা স্বত্তেও !! মনে রাখবেন উনি শুধু ভাল বল করতেন তাই না , খেলেছিলেন বাংলাদেশ নামক একটা দেশের হয়ে , যখন দেশটা্ ক্রিকেটে কেবলই শিশু !!!
এদের সবার নামেই ম্যাচ ফিক্সিং এর অভিযোগ উঠেছে । বিশ্সাস করতে কষ্ট হয় কিন্তু উড়িয়েও দিতে পারছি না কেননা রিপোর্টটা প্রকাশিত হয়েছে প্রথম আলো নামক একটা পত্রিকায় ! আর তা লিখেছেন উৎপল শুভ্র নামের একজন রিপোর্টার যিনি নিজে এবং এই পত্রিকাটি সব সময় আশরাফুলকে সাপোর্ট দিয়ে গেছেন এমনকি তার চরম দুঃসময়েও ( আমার মনে হয় শুভ্রদা প্রথমে আশরাফুলে একজন ফ্যান তার পর ক্রিড়া লিখিয়ে ) এতকিছুর পরও আমি চাই রিপোর্ট টা মিথ্যা হোক , মিথ্যা হোক সবকিছু। আমি ভুলে যেতে চাই ক্যালেন্ডার এর গত ১ মাসের সবগুলো দিন !!! কিন্তু যদি সত্য হয় তবে কি হবে ?? যদি সত্যই হয় আমি চাই শাস্তি হোক আশরাফুলদের ,শাস্তি তাদের প্রাপ্য কিন্তু তারপরও ভুলে যাব না তোমাদের , ছোটবেলা থেকেই বইয়ে পড়েছি পাপকে ঘৃনা কর পাপীকে নয় । তাই তোমাদের পাপটাকেই ঘৃনা করতে চাই তোমাদেরকে নয় !!! এ গেল আবেগের কথা যুক্তির কিছু কথাও আছে । তবে অত যুক্তিতে যাব না , আকসু কে শুধু বলব , একা আশরাফুলের পক্ষে একটা গোটা একটা ম্যাচ ফিক্সিং করা সম্ভব নয় । তাছাড়া সে নিয়মিত অধিনায়কও ছিল না , তাই ভাল করে খোঁজ নিন ,নিয়মিত অধিনায়ককে বসিয়ে কে তারে ওই ম্যাচটাতে অধিনায়ক বানিয়ে দিল ?? পাইলেও পাইতে পারেন অমুল্য (অজানা) কিছু .....