Wednesday, July 31, 2013

ক্রিকেট নিয়ে ভালবাসা ও কষ্টের কিছু কথা

একটা ঘটনা বলি , ধরেন আপনি কাউকে খুব ভালবাসেন তো আপনাদের দুজনের এই ভালবাসার মাঝে যদি কেউ ভিলেন হয়ে দ্বারায় আর তার জন্য আপনি ভালবাসার মানুষটিকে হারিয়ে ফেলেন,তো আপনি কষ্ট পাবেন কিন্তু ভালবাসার মানুসটি যদি নিজেই আপনাকে ফাঁকি দেয় তো আপনি আরও বেশি কষ্ট পাবেন । তেমন ফাকিঁর কারনে আমিও এখন অনেক কষ্টে ভুগছি ..........

এবারে আসি আর একটি ঘটনায় ” এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলা, আমি তখন রংপুর টিটি কলেজে একটা টেনিং এ অবস্থান করছি , ফাইনালটা দেখার জন্য মন আনচান আনচান করছিল !! দুপুরে খাবার সময় এসে পাকিস্থানের ইনিংসের শেষটা দেখলাম , তাতেই দেখা হয়ে গেল শাহাদত কান্ড !!! তখনই বলেছিলাম এই ওভারটা আমাদের ভোগাবে । এরপর ট্রেনিং শেষ করে মটরবাইকে ছুটলাম বাড়ির দিকে , উদ্দেশ্য বাংলাদেশের ২য় ইনিংস দেখা , ক্লাব থেকে বন্ধুরা বার বার ফোন দিচ্ছিল, তারাতারি আয় একসাথে খেলা দেখব । এলাকায় পৌছেঁই বাসায় না গিয়ে ক্লাবেই সবার সাথে খেলা দেখতে বসলাম । কিন্তু নাটকীয়তায় জয় আমাদের হাতের মুঠো থেকে বের হয়ে গেল । সেই সময় ক্লাবে ৩০-৩৫ জন মানুষ ছিল , কেউ কারও সাথে কথা না বলেই ১৫-২০ জন যেন কিভাবে বের হয়ে গেল , বাকি যারা ছিল কেউ কারও দিকে তাকাচ্ছিল না , শুধু লুকিয়ে চোখ কচলাচ্ছিল , প্রত্যেকেই পা্প্ত বয়স্ক কিন্তু সেদিন ক্লাবে শুধু ফোপানির শব্দ ছাড়া আমি কিছুই শুনিনি !!! এই হচ্ছে বাংলাদেশকে নিয়ে, ক্রিকেটকে নিয়ে আমার মত সাধারন মানুষের আবেগ !!!!

বাকি ঘটনা গুলাও শুনেন........... তথন আমি পুলিশ লাইন কলেজে ইন্টার ফার্স্ট ইয়ার এ পড়ি ক্রিকেট গার্ডেনে খেলা দেখতে গিয়ে Mohammad Ashraful এর সাথে প্রথম এবং একমাত্র কথা বলা , তাকে প্রশ্ন করেছিলাম শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সেই ১০০ মাড়া ব্যাটটা কোথায় , উত্তরে সে বলেছিল ঢাকায় রেখে এসছি !!! ব্যাস , এতই আমি মহা খুশি , কলেজের সব সব বন্ধুরে বলে বেড়িয়েছি সে কথা ! বলব নাই বা কেন ? বিশ্ব রেকর্ড করা ব্যাটসম্যানের সাথে কথা বলেছি কম তো নয় ??? ভাললাগাটা আরও বেশি এই কারনে যে,আমি যে বছর এস এস সি পরীক্ষা দেই সে বছরই আ্যাশ এর পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল ।সে হিসেবে তো সে আমার ইয়ারমেটও তাই না !! তাই ওরে সব সময় অনেক কাছের মানুষ মনে হয় । সব সময়ই মনে পড়ে কাছের সেই মানুষটির খেলা ইনিংসগুলো ........কার্ডিফের সেঞ্চুরি, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শ্বাসরুদ্ধকর ৯৮ ,বিশ্বকাপে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ৮৭ বা টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপে চোখের পলকেই খেলে ফেলা সেই ইনিংস অথবা ভারতের বিরুদ্ধে খেলা সেই দেড় শতকের ইনিংসটা !! হ্যাঁ জানি সে খুবই অধারাবাহিক তারপরও তাকে এত ভাল লাগে কেননা বাংলাদেশের প্রথমদিককার সব বড় জয়ে তার একক অবদান তাছাড়া সে যেদিন খেলে সেদিন শচীনকেও তার কাছে নস্যি মনে হয় !!!! মনে পড়ে তাকে সাপোর্ট করার জন্য বন্ধু . ছোট ভাইদের কত কথাই না শুনতে হয়েছে !!!

খালেদ মাহমুদ, পাকিস্থান সফরে হঠাৎ করে বাংলাদেশের ক্যাপ্টেন, টেষ্টে মারাত্মক ফাইট দেয়ার পর একটা ওয়ানডেতেও জিতে যাই যাই অবস্থা !! এমন সময় কে যেন লং অনে মিসফিল্ডিং করে একটা রান বেশি দিল ,সেদিন দেখেছিলাম মাঠেই খালেদ মাহমুদ এর সেকি রাগ !! কিন্তু রাগের চাইতেও বেশি মনে পড়ছে তার কাদোঁ কাদোঁ মুখটা , তখনই বুঝেছিলাম দেশের প্রতি, ক্রিকেটের প্রতি তার ভালবাসা ।

খালেদ মাসুদ পাইলট , যতদিন খেলেছিলেন সবসময় তার দায়িত্ব পড়ত দে্শের সম্মান বাচাঁনোর আর সে কাজে তিনি বেশির ভাগ সময়ই সফল সে ব্যাপারে আমার সাথে অনেকেই একমত হবেন । শুধু তাই নয় বাংলাদেশের ক্রিকেটে ৩ জন মানুষের ক্রিকেট মস্তিস্ককে আমি সব সময় সম্মান করি একজন হচ্ছেন বর্তমান অধিনায়ক মুশি আর বাকি ২ জন মাসুদ এবং মাহমুদ ।

মোহাম্মদ রফিক , কি অমায়িক একজন মানুষ !! দল যখন বিপদে সব সময় অধিনায়কের আস্থা ছিলেন রফিক ভাই , তখন মনে হত ইসস ! ওয়ানডেতেও একজন বোলার কেন যত খুশি তত বল করতে পারবে না ? পারলেতো আমরা রফিকরে দিয়ে পুরা ৫০ ওভারই বল করাইতাম !!! শুধু এটাই না আমি মনে করি এখন পর্যন্ত বিশ্বের শ্রেষ্ট বাঁহাতি স্পিনার এর নাম মোহাম্মদ রফিক , হ্যাঁ ভেট্টোরির কথা মনে থাকা স্বত্তেও !! মনে রাখবেন উনি শুধু ভাল বল করতেন তাই না , খেলেছিলেন বাংলাদেশ নামক একটা দেশের হয়ে , যখন দেশটা্ ক্রিকেটে কেবলই শিশু !!!

এদের সবার নামেই ম্যাচ ফিক্সিং এর অভিযোগ উঠেছে । বিশ্সাস করতে কষ্ট হয় কিন্তু উড়িয়েও দিতে পারছি না কেননা রিপোর্টটা প্রকাশিত হয়েছে প্রথম আলো নামক একটা পত্রিকায় ! আর তা লিখেছেন উৎপল শুভ্র নামের একজন রিপোর্টার যিনি নিজে এবং এই পত্রিকাটি সব সময় আশরাফুলকে সাপোর্ট দিয়ে গেছেন এমনকি তার চরম দুঃসময়েও ( আমার মনে হয় শুভ্রদা প্রথমে আশরাফুলে একজন ফ্যান তার পর ক্রিড়া লিখিয়ে ) এতকিছুর পরও আমি চাই রিপোর্ট টা মিথ্যা হোক , মিথ্যা হোক সবকিছু। ‍আমি ভুলে যেতে চাই ক্যালেন্ডার এর গত ১ মাসের সবগুলো দিন !!! কিন্তু যদি সত্য হয় তবে কি হবে ?? যদি সত্যই হয় আমি চাই শাস্তি হোক আশরাফুলদের ,শাস্তি তাদের প্রাপ্য কিন্তু তারপরও ভুলে যাব না তোমাদের , ছোটবেলা থেকেই বইয়ে পড়েছি পাপকে ঘৃনা কর পাপীকে নয় । তাই তোমাদের পাপটাকেই ঘৃনা করতে চাই তোমাদেরকে নয় !!! এ গেল আবেগের কথা যুক্তির কিছু কথাও আছে । তবে অত যুক্তিতে যাব না , আকসু কে শুধু বলব , একা আশরাফুলের পক্ষে একটা গোটা একটা ম্যাচ ফিক্সিং করা সম্ভব নয় । তাছাড়া সে নিয়মিত অধিনায়কও ছিল না , তাই ভাল করে খোঁজ নিন ,নিয়মিত অধিনায়ককে বসিয়ে কে তারে ওই ম্যাচটাতে অধিনায়ক বানিয়ে দিল ?? পাইলেও পাইতে পারেন অমুল্য (অজানা) কিছু .....

Monday, July 22, 2013

স্বপ্নের টাঙ্গুয়ার হাওড়

এইটা একটা স্বপ্ন বিষয়ক পোষ্ট , যদিও এই সব স্বপ্ন টপ্ন কেন জানি আমার আসে না ! তাছাড়া আমি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখার চাইতে দিনের বেলা জেগে স্বপ্ন দেখতেই পছন্দ করি, কেননা এইটা বাস্তব হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি । একটা সময় ছিল মানুষের স্বপ্নের গল্প শুনতে শুনতে আমি “মানুষ কেন স্বপ্ন দেখে “ এই জাতীয় বিষয় পড়ে যে জ্ঞান লাভ করেছিলাম তার প্রয়োগও করার চেষ্টা করছিলাম !!!! রীতিমত প্রাকটিস ম্যাচ খেলে আসল ম্যাচের অপেক্ষায় থাকার মত । কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও আমি স্বপ্ন দেখিনি , হ্যাঁ মাঝে মাঝে টুকটাক, ছোট স্বপ্ন দেখেছি বটে কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠে যখন মনে করার চেষ্টা করেছি , তখন দেখি মাথা পুরাই empty !!!! এটা নিয়েও মজার ঘটনা আছে , স্বপ্ন দেখে হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে গেছে , সাথে সাথে মোবাইল এর মেসেজ অপশনে যা মনে আছে শর্টহ্যান্ডে লিখে রেখেছি কারন সকাল বেলা তো আবার সেটা মনে থাকবে না !!!
যাইহোক গতরাতে আমি অনেক লম্বা একটা স্বপ্ন দেখেছি এবং সেটা কেন জানি খুব সুন্দর ভাবে মনে আছে । আসলে গত কয়েকদিন থেকে মনটা কিছুটা বিক্ষিপ্ত , বাবা মা দুজনই অসুস্থ্য !!! কর্মস্থলে কাজের চাপ,পারিবারিক টেনশন আর সামাজিক কিছু বিষয় নিয়ে চাপটা কাটানোর জন্য গতকাল বেশকিছু সময় বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিলাম । কয়েকঘন্টার নির্মল সেই আড্ডাটা সত্যিই মনটা কিছুটা হালকা করে দিয়েছে । সেই সাথে গতরাতে আমার প্রিয় একজন মানুষ পানির রাজ্য টাঙ্গুয়ার হাওড়ে বেরাতে যাওয়ার একটা “ট্যুর প্লান” ঘোষনা করেছে , আমি অনেকদিন থেকেই সেখানে যেতে চাচ্ছি তাই এইটা দেখার পর আরও excited হয়ে গেছিলাম । সবমিলে জগাখিচুরি মার্কা একটা স্বপ্ন !!! ভাবছেন স্বপ্নে কি দেখলাম সেটা নিয়ে আপনাদের সামনে প্যাচাল পারছি কেন ? স্বপ্ন নিয়ে এত কথা বলছি শুধুমাত্র একটা অনুভুতি শেয়ার করার জন্য .. গতরাতের অনেক দৃশ্যই মনে আছে কিন্তু “ নৌকার পাটাতনে দুইদিকে ২ হাত মেলে শুয়ে আছি আমি , উপরে নীল আকাশ নীচে সাদা পানি , চারিদিকে যেদিকেই তাকাই শুধু পানি আর পানি ,পানি আর পানি..............এই দৃশ্যটা আমি কোন মতেই ভুলতে পারছি না । অপেক্ষায় আছি বাস্তবে সেই রকম একটা দৃশ্যের জন্য !!!

সুন্দর বন ধ্বংস নাকি নিজেদের ভবিষৎ ধ্বংস ?

বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ , নদী আর বন এদেশের উপকূলীয় মানুষের জীবন যাত্রার সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত । সৃন্দরবন শুধু যে আমাদের প্রয়োজনীয় অক্সিজেন , মধু, মৎস, আর কাঠ প্রদান করছে তাই নয় , দেশের জীব বৈচিত্র্য আর নানারুপ প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে বাংলাদেশ এবং এর জনগনকে রক্ষায় ঢাল হিসেবে কাজ করছে পৃথিবীর বৃহত্তম এই ম্যানগ্রোভ বন ।যেটা আমরা বুঝেছি কিছুদিন আগে ঘটে যাওয়া সিডর এর সময় , সুন্দর বন না থাকলে সিডর যে আমাদের কি পরিমান ক্ষতি করতে পারত তা কল্পনা করাও দুস্কর । বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে গাছ আর বন আমাদের কতটা প্রয়োজনীয় এবং ভবিষৎ পৃথিবীকে রক্ষায় এর গুরত্বই বা কতটুক এটা বোঝার জন্য পরিবেশবিদ হতে হয় না । কিন্তু বর্তমান সরকার পরিবেশবাদীদের নানা বাধা আর সাধারন জনগনের আন্দোলন ও বিরোধিতা স্বত্তেও সুন্দরবন ধ্বংসের পিছনে ছুটেই চলেছে এবং একথা বলতে কোন বাধা নেই যে , সরকার দেশ ও পরিবেশ এর কথা চিন্তা না করে শুধুমাত্র ব্যক্তিস্বার্থের কথা চিন্তা করেই এটা করছে । সুন্দরবনের এক পাশে বাগেরহাটের রামপালে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মানের মত বন ধ্বংসকারী হঠকারী সিদ্ধান্ত এর ব্যাপারে আন্দোলন চলাকালীন সময়েই সুন্দরবন অপরপাশে বলেশ্বর নদের তীরে শুরু করেছে পরিবেশের জন্য মারাত্মক দূষনকারী হিসেবে বিবেচিত জাহাজভাঙা শিল্প স্থাপন এর কাজ । বন আইন, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন এবং বাংলাদেশ স্বাক্ষরিত জাতিসংঘের রামসার কনভেনশন অনুযায়ী, সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে কোনো শিল্পকারখানা, ভারী ইমারত ও স্থাপনা নির্মাণ নিষিদ্ধ অথচ প্রস্তাবিত এই জাহাজভাঙা ইয়ার্ড স্থাপনের জায়গাটি থেকে সুন্দরবনের দূরত্ব মাত্র ছয় কিলোমিটার। সরকারেই দুটি প্রতিষ্ঠান , পরিবেশ অধিদপ্তর ও বনবিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘পরিবেশগত বিরূপ প্রভাব বিবেচনায় প্রতিবেশগত গুরুত্বপূর্ণ তথা ইকোলজিক্যালি ক্রিটিক্যাল এরিয়া (ইসিএ) বলেশ্বর নদের তীরকে জাহাজভাঙা শিল্পের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্বাচন করা সমীচীন হবে না।’ অধিদপ্তরের চিঠিতে বলা হয়, ২০১০ সালে পরিবেশ অধিদপ্তর জাতীয় জীববৈচিত্র্য মূল্যায়ন ও কর্মপরিকল্পনা-২০২০ তৈরি করেছে। তাতে মৎস্য সম্পদ ও জীববৈচিত্র্যের আধার হিসেবে বলেশ্বর নদের মোহনাকে সংরক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এসব বিবেচনা করে এখানে জাহাজভাঙা শিল্প স্থাপন না করার পক্ষে পরিবেশ অধিদপ্তর।
বন বিভাগের আপত্তিপত্রে বলা হয়, পাথরঘাটা ও এর পার্শ্ববর্তী সুন্দরবনে প্রায় ৬০ প্রজাতির বন্য প্রাণী রয়েছে। এ ছাড়া নির্বাচিত এলাকায় পাঁচ-ছয় কিলোমিটার পশ্চিমে সুন্দরবনের অবস্থান। জাহাজভাঙা শিল্প স্থাপিত হলে ব্যাপক হারে পানি, বায়ু ও শব্দদূষণের কবলে পড়বে সাগর ও সুন্দরবন। সরকারের নিজস্ব দুটি প্রতিষ্ঠান পরিবেশ অধিদপ্তর ও বন মন্ত্রনালয় যেখানে এই প্রকল্পের বিরোধীতা করেছে সেখানে শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া ও স্থানীয় সাংসদ গোলাম সবুর দিব্যি এর পক্ষে সাফাই গাইছেন । তারা বলছেন, বলেশ্বরতীরে ‘পরিবেশবান্ধব জাহাজভাঙা শিল্প’ স্থাপন করা হবে । বাংলাদেশের জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প কতটা পরিবেশ বান্ধব তা বোঝা যায় , জাহাজভাঙা শিল্প পর্যবেক্ষণকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা শিপব্রেকিং প্ল্যাটফর্ম-এর বাংলাদেশ শাখার সমন্বয়কারী মোহাম্মদ আলী কথায় তিনি বলেছেন , ” সীতাকুণ্ডে অবস্থিত জাহাজভাঙার ঘাটগুলোকে এখনো সরকার পরিবেশবান্ধব করতে পারেনি। তারা নিয়মিতভাবে উপকূলীয় এলাকা ও বঙ্গোপসাগর দূষণ করে যাচ্ছে। এখন সুন্দরবনের পাশে যদি এ শিল্প স্থাপিত হয়, তাহলে সুন্দরবন দূষণের হুমকিতে পড়বে। “এত কিছুর পরও শিল্পমন্ত্রী বলেছেন যে,এটা সুন্দরবনের পরিবেশের কোন ক্ষতি করবে না । তিনি যদি পরিবেশ সম্পর্কে এতই বোঝেন তো শিল্প মম্ত্রণালয়ে কেন ? আর সরকারই বা কেন অযথা পরিবেশ অধিদপ্তর নামক একটা অধিদপ্তর খুলে রেখেছে ? এই ম্যাসিভ ইনভারোয়েনমেন্টাল ডেসট্রাকশন এর হঠকারী সিদ্ধান্তের প্রভাব শুধু আমাদের উপকুলীয় ভাইদের জীবন যাত্রার উপরই নয় , আমাদের ভবিষৎ প্রজন্মের উপরও পরতে বাধ্য তাই পরিবেশ বাদীদের সাথে সাধারন মানুষেরও উচিত এই প্রকল্পের বিরোধিতা করা ।