Saturday, June 1, 2019

বিশ্বকাপের কথা


ক্রিকেট বিশ্বকাপ আর এইটা নিয়ে কথা হবে না সেটা তো হতে পারে না
কন্ডিশন আর বর্তমানে দলগুলোর অবস্থান -সবমিলে মনে হচ্ছে একটা জমজমাট বিশ্বকাপই হতে যাচ্ছে। সবাই রান রান বলে মুখে তুবরি ছোটালেও, নিজেদের প্রথম ম্যাচেই পাকিস্থান বরারবরে মতই সবাইকে ভুল প্রমান করে দিয়েছে
এবারে আমি একটু দলগুলোর সম্ভাবনা আলোচনা করতে চাই।

ইংল্যান্ডঃ এই বিশ্বকাপের সবচেয়ে আলোচিত দল হচ্ছে ইংল্যান্ড। বলা হচ্ছে এই দলটা চ্যাম্পিয়ন হয়ে যেতে পারে , চ্যাম্পিয়ন হবে কিনা জানি না তবে ইংল্যান্ড নিশ্চিত সেমি ফাইনাল খেলবে। বর্তমানে তাদের যেই ফর্ম আর ধারাবাহিকতা তাতে কোনভাবেই ইংল্যান্ড এতগুলো ম্যাচ হারবে না যে, তারা সেমি খেলতে পারবে না। শক্তির কথা বললে কাকে ছেড়ে কার কথা বলবো – তারপরও তাদের দুজন ওপেনারের সাথে সাথে জোফরা আর্চারের উপর চোখ রাখতে পারেন আর মরগ্যান তো আনস্যাং হিরো , সে সব সময়ই ম্যাচে থাকবে।
অস্ট্রেলিয়াঃ অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে বরাবরই হট টিম । ছন্দপতন না হলে তারা সম্ভবত আর একটা সেমি ফাইনালিষ্ট দল । ৩ জনের উপর চোখ রাখতেই হবে - ওয়ার্নার,স্মিথ আর ম্যাক্সি । আর মার্কাস স্টয়নিস দলটাতে পুরা ভারসাম্য ও স্থিতি এনে দিয়েছে । স্টয়িনিস এর কারনেই অস্ট্রেলিয়ার সম্ভাবনা কয়েকগুন বেড়ে গেছে। একজন ভালো অলরাউন্ডার যে একটা দলে কতটা স্থিতি এনে দিতে পারে সেটা তো আমরা আমাদের সাকিবকে দেখলেই বুঝতে পারি ।
শ্রীলংকাঃ এই শ্রীলংকা একটা ভাঙ্গাচোরা দল। কিছু দল থাকে যারা দিন দিন ক্ষয়ে যেতে থাকে তারপর আবার গড়ে উঠে । কিন্তু শ্রীলংকা ক্ষয়ে গিয়ে একটা জায়গায় আটকে আছে। কারও একট নৈপূন্যে ২/৩ টা ম্যাচ হয়তো জিতলেও জিততে পারে । সবমিলে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের আমি তেমন কোন আশা দেখছি না ।
ভারতঃ বর্তমান ক্রিকেট বাজারে ভারতের ভাল দাম আছে । তারা সেমিফাইনালের আর একটা জায়গার দাবীদার। কোহলি ফ্যাক্ট এর কথা বাদ দিলেও ইন্ডিয়ার ব্যাটিং শক্তি সব সময়ই সেরা । কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি তাদের বোলিংটা সম্ভবত এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে যাওয়া তাদের দলগুলোর মধ্যে সেরা । ব্যাটিং আর বোলিং শক্তির পাশাপাশি ক্রিকেট মস্তিস্কেরও খেলা । আর এক ধোনী থাকাতে সেখানে তারা অনেক এগিয়ে থাকবে । বিশেষ করে রান ডিফেন্ড করার ক্ষেত্রে ক্লোজ ম্যাচগুলোতে ধোনী ইমপ্যাক্টের কারনে ইন্ডিয়া এগিয়ে যাবে ।
নিউজিল্যান্ডঃ অনেকে কেন জানি এই দল টাকে গোনায় ধরছে না । একসময় নিউজিল্যান্ড ছিলো ছোট ছোট অলরাউন্ডারে ভরপুর একটা দল। কিন্তু বর্তমানের এই দলটা অনেক ব্যালান্স । আছে ম্যাককুলাম এর শুরু করে যাওয়া আক্রমনাত্মক ফর্মূলা । উপরে গাপটিল আর তারপরে উইলিয়ামসন,টেলরের মত অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান । তবে আমি বলবো তাদের মূল শক্তি হচ্ছে বৈচিত্রপূর্ন বোলিং ।
পাকিস্থানঃ পাকিস্থান বরাবরই অনমুনেয় দল , তাদের নিয়ে প্রেডিকশনের কিছু নাই । আমি নিশ্চিত বলে দিচ্ছি তারা সেমিফাইনাল খেলতে পারবে না ।
আফগানিস্থানঃ উপরে জাজাই আর নিচে রশিদ খান মিলে নিশ্চিত ভাবেই বেশকিছু বড় দলকেও চমকে দেয়ার ক্ষমতা আছে আফগানদের । তারা ১/২ টা ম্যাচ জিতলেও জিততে পারে কিন্তু কাদের বিপক্ষে সে বিষয়ে কোন গ্যারান্টি নাই । তাদের সবচেয়ে বড় শক্তি বর্তমান বিশ্বের সেরা লেগ স্পিনারটা তাদের দলে। এক রশিদ খানকে বাদ দিলে এই দলের বর্তমান সম্ভাবনা ৪০% কমে যাবে ।
সাউথ আফ্রিকাঃ নতুন পুরাতন মিলে অনেক অনেক খেলোয়ার, অনেক অনেক পারফর্মার । সেমিফাইনালে আসার বড় দাবীদার কিন্তু আমি কেন জানি ভরসা করতে পারছি না এদের উপর। মন থেকেই বলছি সাউথ আফ্রিকার ব্যাপারে আমি কনফিউজড । স্টেইন পড়ন্ত বেলায় চলে আসলেও তরুন তুর্কি কাগিসো রাবাদা দারুন , আছেন আমলা,ডিকক আর ধারাবাহিক ফ্যাফ। তারপরও আমার কেন জানি মনে হচ্ছে এরা ২টা ক্লোজ ম্যাচ হেরে সম্ভাবনা খুইয়ে দিবে ।
ওয়েষ্ট ইন্ডিজঃ ওয়েষ্ট ইন্ডিজকে কেউ গোনায় ধরছে না বাট আমি বলবো “কিপ এন আই অন দেম ”। গেইল আর হোপ ফর্মে আছে, লোয়ার অর্ডারে হোল্ডার ভাল করছেন , বোলিংটাও মোটামুটি মানের । তবে এই দলটাকে পাল্টে দিয়েছে রাসেলের অর্ন্তভুক্তি । ৯৯ বিশ্বকাপে এক ক্লুজনার যেমন সাউথ আফ্রিকা দলটাকে টেনে তুলেছিলেন । রাসেলের সামর্থ আছে তার থেকেও বেশি কিছু করার । অনেক ম্যাচেই হয়তো পিছিয়ে থাকবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ , এমন কি নিশ্চিত হারা ম্যাচেও ধুপ ধাপ ম্যাচ বের দিতে পারেন রাসেল-এ রিয়েল গেম চেঞ্জার । সাউথ আফ্রিকার থেকে আমি সেমি ফাইনালের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এগিয়ে রাখবো ।
বাংলাদেশঃ কোন প্রেডিকশন নেই আমি চাই বাংলাদেরশ চ্যাস্পিয়ন হোক
এটা তো আবেগের কথা চলেন এবার দেখি সম্ভাবনা কি বলে ?
বাংলাদেশ কি সত্যিই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার যোগ্যতা রাখে । ১৯৮৩ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আগে ভারত মাত্র ১টা ম্যাচ জিতেছিল আমরা তো সে তুলনায় এগিয়ে আছি নাকি ? ক্রিকেটীয় যুক্তির কথা যদি বলি আমরা কিন্তু নিজেদের উন্নতির গ্রাফটা ধরে রেখেছি । গত বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমি ফাইনাল ,এরপর এশিয়া কাপের ফাইনাল । সর্বশেষ ত্রিদেশীয় কাপে চ্যাম্পিয়ন । এর মাঝেও গত চার বছরে ওয়ানডেতে আমাদের পারফরম্যান্স বলার মতই । আগে বলা হতো আমাদের দিনে আমরা যে কোন দলকে হারাতে পারি । আমি তো বলবো বর্তমানে যে কোন দিনে, যে কোন দলকে হারানোর সামর্থ আমাদের আছে । কেউই আর নিশ্চিত জয় ভেবে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে নামে না । আমাদের পঞ্চ পান্ডবের ব্যাপারে কিছু বলার নেই , এর সাথে তরুন তুর্কিরাও তারুন করছেন।ইমরুলকে বাদ দেয়া নিয়ে অনেক কথা হয়েছে, তাকে দিয়ে হয়তো সম্মান রক্ষা হবে কিন্তু ম্যাচ জেতাতে আমাদের আসলে সৌম্য আর লিটনদেেই দরকার। নিজেদের খেলা খেলতে পারলে যে কোন দল স্রেফ অসহায় এদের সামনে । আমাদের আছেন একজন সাকিব- এই ছেলেটা নিজ দেশে তো বটেই , দেশের বাইরেও কিছুটা আন্ডার রেটেট। ও যদি বাংলাদেশের না হয়ে অন্যে দেশের হতো তবে তাকে নিয়ে মাতামাতি বেশি হতো। আমরা ভাগ্যবান সে আমাদের দলে, নিশ্চিত থাকেন সাকিব বিশ্বকাপে ভালো করবেই । তামিম বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম সেরা একজন ওপেনার । মুশি আর রিয়াদ সব সময়ের মতই বিপদের বন্ধু । আর সবার উপরে ম্যাশের ক্রিকেট মস্তিস্ক আর ক্যারিশমাটিক নেতৃত্ব তো আছেই । সবমিলে আমাদের সেমি ফাইনাল খেলার ভাল সম্ভাবনা আছে ।

এবার আসি কেমন হতে পারে বাংলাদেশের বেষ্ট ইলেভেন । আমি চাই সৌম্য আর লিটন দুজনই খেলুক।
১। তামিম , ২। সৌম্য, ৩। সাকিব, ৪। মুশফিক, ৫। লিটন ৬। রিয়াদ , ৭। সাব্বির/ মোসাদ্দেক ৮। মিরাজ/সাইফ ( পিচ কন্ডিশন অনুযায়ী) ৯। মাশরাফি ১০।রুবেল ১১। মোস্তাফিজ
প্রয়োজন হলে লিটন আর রিয়াদের পজিশন চেঞ্জ করা যেতে পারে । উপমহাদেশের দলগুলোর বিপক্ষে সাব্বির আর অস্ট্রেলিয়া,নিউজিল্যান্ডি ,সাউথ আফ্রিকা এদের বিপক্ষে মোসাদ্দেককে খেলানো যেতে পারে, তখন মোসাদ্দেকে এর স্পিনটাকে কাজে লাগানো যাবে।
রুবেলকে খেলানোটা জরুরি । ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে ৩০০+ স্কোরের কথা বলে অনেকেই মুখে ফেনা তুলছেন কিন্তু রান ৩০০ হবে কিনা সেটা নির্ভর করবে মাঝের ওভারগুলোর উপর । আপনি যদি এই সময়ে কয়েকটা উইকেট নিতে পারেন তাতে নিশ্চিতভাবেই প্রতিপক্ষকে ৩০০ রানের নিচে আটকে ফেলার সম্ভাবনা প্রচুর । আর মাঝের ওভারগুলোতে ব্রেক থ্রু দেয়ার জন্য রুবেলই আমাদের সেরা বোলার।
তবে যদি সুইং করার মত কন্ডিশন থাকে, বল মুভ করে । সেক্ষেত্রে রাহিকে খেলোনো যে পারে কারন রাহি দুই দিকেই সুইং করাতে সক্ষম ।
এই টূর্নামেন্টের শুরুটা আমাদের জন্য গুরত্বপূর্ন । শুরুটা দারুন হলে আমরা দারুন ভাবে শেষ করতে পারবো আশাকরি।
বাংলাদেশ দলের জন্য শুভ কামনা

তবে ভুলে যাবেন না , মোটামুটি সব দেশই বাংলাদেশকে হারানোর ছক কষেই মাঠে নামবে। বড় দলগুলো তো নিশ্চিত পয়েন্ট ধরে রাখবেই । মাঝারি দলগুলোও কোন ভাবেই হারতে চাইবে না । এমনকি আফাগানিস্থানের টার্গেট লিষ্টেও প্রথম নামটা বাংলাদেশের নিশ্চিত । আশা করতে দোষ নেই কিন্তু আশা আর বাস্তবতার ফারাকটাও সবাইকে বুঝেই আশা করতে বলছি

সেমিফাইনাল খেলার মত দল চারটা তাহলে হচ্ছে- ইংল্যান্ড,ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ( নিউজিল্যাণ্ড ,বাংলাদেশ আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে যে কোন একটা দল )

ফাইনাল নিয়ে কোন কথা বলার নেই । তবে ১টা দল ইংল্যান্ড হবার সম্ভাবনাই বেশি আর একটা দল যদি বাংলাদেশ হয় তবে আমার মত নিশ্চই আপনিও খুশি হবেন
বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হলে তো কোন কথাই নেই তবে ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেলেও তাতে বাংলাদেশে অবদান থাকবে ।কারন আজকের এই যে খোলনচে পাল্টে ফেলা ইংল্যান্ড দল সেটা তো বাংলাদেশ দলের সাথে হেরেই !

Wednesday, May 23, 2018

জীবনের গল্প !

সময়টা গ্রীষ্মের শুরু । চারদিকে ধান মাড়াইয়ের উৎসব । আকাশে মেঘ আর সূর্যমামার মধ্যে লুকোচুরি খেলা চলছে। এই খেলায় হারজিতের মধ্যে কৃষকের স্বার্থ আছে । সমস্ত কৃষক একমনে চাইছে যেন- সূর্যমামা জিতে যায়।
শাওন পরিবেশটাকে উপভোগ করা চেষ্টা করছে,সে একটা রেল ষ্টেশনে এসে বসে আছে । মন খারাপ বা উদাস লাগলে মাঝে মাঝেই সে এখানে এসে বসে থাকে । প্রায়ই সময় ই মন ভাল হয়ে যায় তবে আজ যে খুব মন খারাপ সেটা বলা যায় না । তার সেই অদ্ভুদ শুন্যতায় ভোগা রোগে পেয়েছে তাকে আজ !!
রেলষ্টেশন খুবই মজার একটা জায়গা। কত বিচিত্র মানুষ আর বিচিত্র কান্ড কারখানা যে ঘটে একটা ষ্টেশনে । যখন ট্রেন আসে চারদিকে কত ব্যস্ততা। আর সেই সময়টাতে চুপচাপ কোন একটা কোনায় বসে সব দেখার মধ্যে একটা মজা আছে, কোন ঘটনা দেখে যেমন কষ্ট লাগে আবার কোনটা দেখে একা একাই হাসি পায়। ক্ষনেক্ষনে নিজের মুখের অভিব্যক্তি বদলটা বুঝেও যেমন তার হাসি পাচ্ছে।ট্রেন চলে গেলেই পুরো দৃশ্যটা বদলে যাবে । ব্যস্ততায় ভরা একটা জায়গা নিমিষেই কেমন সুনসান নীরব হয়ে যাবে।ফস্বল শহরের ষ্টেশনগুলো যেন জীবনেরই প্রতিচ্ছবি। কখনও প্রচন্ড উচ্ছাসে ভরা আবার কখনও একদম নিশ্চুপ।
হঠাৎ করেই ষ্টেশনের একটা কোনা গলে দুটো পিচ্চি বের হয়ে আসলো। অল্পক্ষনেই গল্পও জমে উঠলো। দুজনের একজনের নাম আলিফ আর একজন আলম ।আলম একটু বোকাসোকা কিন্তু আলিফ প্রচন্ড চালাক
গল্পে গল্পে বোঝা গেল বর্তমান দুনিয়া সম্পর্কে বেশ ভাল ধারনাই আছে আলিফের। শাওন আলিফের হাতে একটা বিশ টাকার নোট ধরিয়ে দিয়ে অর্ধেক খরচ করে অর্ধেক ফেরত আনতে বললো।
দুজন যাওয়ার একটু পর থেকে শাওনের কেন জানি সন্দেহ হচ্ছে ! সে আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছে যে,তারা বাকি টাকাটা নিয়ে ফিরবে,নাকি ফিরবে না ? ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিরে আসলে বাকি ১০টাকাও তাদের দুজনকে খাওয়ার জন্য দিয়ে দিবে ।
হঠাৎ করে ঘন্টার শব্দে মনযোগ নড়ে উঠলো শাওনের । নতুন একটা ট্রেন আসবে। সুনসান স্টেশনটা আবার জ্যন্ত হয়ে উঠছে। এতক্ষন ষ্টেশনের এক কোনায় অলস শুয়ে থাকা পঙ্গু ভিক্ষুকটার মাঝেও ব্যস্ততা দেখা গেল। একটা পিচ্চি মেয়ে এইমাত্র তার বাবার হাত ধরে ষ্টেশনে প্রবেশ করলো। শাওনের তার বাবার কথা মনে পড়লো।ছোট বেলায় প্রতি সপ্তাহে বাবা যখন অফিস থেকে ১দিনে জন্য বাড়িতে আসতো। সেদিনটা হতো তার জন্য ঈদের দিন বাবার বিশাল বুকটা হতো সেদিন তার ঘুমানোর বিছানা। অথচ কতদিন বাবার হাত ধরা হয় না ! ঝিরঝির করে একটা বাতাস বইলেও বেশ গরম গরম লাগছে । নাহ-সূর্যমামাটা আজ জিতেই গেল !
ইতিমধ্যে আলিফ আর আলম ফিরে এসেছে। শাওন বাকি টাকা চাইতেই বললো -সবটাকাই খেয়ে এসেছে
শাওন বেশ বুঝতে পারলো-তারা কিছুই খায় নাই বরং পরিকল্পনাটুকু সাজাতে আলিফের সময় ব্যয় হয়েছে ।সে হয়তো এই ২০ টাকা ভাগাভাগিতে আলমকে বঞ্চিতও করেছে।
গল্পের এই অংশটুকু আসলে নশ্বর এই পৃথিবীটা নষ্ট হওয়ার গল্প ।
হুট করেই শাওনের আর এই ষ্টেশনটা ভাল লাগছে না । ট্রেনটা ইতিমধ্যে ষ্টেশন ছেড়ে চলে গেছে । অপেক্ষা এখন নতুন একটা ট্রেনের। নতুন ট্রেন,নতুন গল্প ।
নতুন জীবনের গল্প .................জ

Sunday, September 10, 2017

রোহিঙ্গা সমস্যা ও বাংলাদেশ

প্রতিদিন টিভিতে রোহিঙ্গাদের অসহায় অবস্থা দেখে মনে হয় মানবিকতার আজ কোথায়  -_-  কোন সন্দেহ নেই যে,রোহিঙ্গাদের উপর স্মরনকালের ভয়াবহ অত্যাচার মানবতার চরম লঙ্ঘন । মানবিক দিক বিবেচনা করে অনেকেই সীমান্ত খুলে দিতে বলেছেন ।সত্যি বলতে রোহিঙ্গাদের জন্য সবসময় অলিখিতভাবে সীমান্ত খোলাই থাকে ,না হলে এই অল্পকদিনে প্রায় ৩ লক্ষ্য রোহিঙ্গা প্রবেশ করতে পারতো না ।  আর এই সমস্যাটা আজকের না । সেই ১৯৭৭ সাল থেকে রোহিঙ্গারা এদেশে আসতে শুরু করেছেন । তারা আসে কিন্তু যাওয়ার কোন নাম নেই -_- মিয়ানমার সেনাবাহীনি যেমন তাদের  পুশইন করছে তেমনি  তাদেরও একবার আসলে আর ফেরার ইচ্ছা করে না ।দেশে অনেকেই তাদের প্রতি মানবিক হতে বলছেন,সব স্বাভাবিক মানুষ তাই বলবেন । ভয় লাগে তখনই ,যখন দেখি সেই মানবিকতা ধর্মভিত্তিক । মানুষ হয়ে মানুষের পাশে দ্বাড়ানো সবার কর্তব্য । অবশ্য মানবিকতা আর জাতীয়তার টানা পোড়েনে আমি নিজেই সন্দিহান কি করা উচিত । কারন নিয়ন্ত্রন করতে না পারলে  ভূরাজনৈতিকভাবে গুরত্বপূর্ন আমাদের পার্বত্য অঞ্চলে রোহিঙ্গাদের এই সংখ্যাবৃদ্ধি হতে পারে  আশংকার কারন । জাতিগতভাবে আমরা নিজেরা চরম বিশৃঙ্খল কিন্তু রোহিঙ্গারা আমাদের থেকেও এককাঠি সরেস । রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে কিকি ঘটে তা যারা আশেপাশে থাকেন তারা ভালোই জানেন । এরা সীতাকুন্ডের বিশাল ঝাউ বাগান উজার করে ফেলেছে,বাড়িঘর তৈরি করছে পাহাড়-টিলা কেটে , যুক্ত হচ্ছে নানা অপরাধ কর্মে । আর এদেরকে ব্যবহার করছে এদেশের এক শ্রেনীর অসাধু মানুষ । কারও কাছে আবার রোহিঙ্গারা টাকা উপার্জনের একমাত্র উৎস ও মাধ্যম । জঙ্গীবাদের ভয়াল থাবায় ইতিমধ্যে আমরা আক্রান্ত হয়েছি ,রাখাইনের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি সেখানে আর্ন্তজাতিক সন্ত্রাসবাদের উত্থানের সুযোগ করে দিয়েছে,যেটা আমাদের জন্যও উদ্বেগের । আমরা কি এই বিপুল পরিমান ঝুঁকি নিয়ে রোহিঙ্গাদের বোঝা বয়ে বেড়াতে পারবো ? আমরা মানবিক সাহায্য দিতে পারি,তাদের পক্ষে সোচ্চার হতে পারি ,প্রোপার ওয়েতে শরনার্থী হিসেবে সাময়িক আশ্রয় দিতে পারি কিন্তু রাখাইনের প্রতিবারের সমস্যায় দেশে চলে আসা লক্ষ্য লক্ষ্য রোহিঙ্গাকে স্থায়ীভাবে আশ্রয় দিতে পারি না ।
অনেকের প্রশ্ন বিশ্বনেতারা কেন বেশি সোচ্চার হচ্ছে না
?সেটাও অনুমিত । চীন মিয়ানমারের বরাবরের বন্ধু,আর ভারত হতে চাচ্ছে নব্য বন্ধু ।কারনটা সোজা -সামরিক শাসনের ঘেরাটোপ থেকে বেড়িয়ে মায়ানমার তাদের দেশে বিনিয়োগের রাস্তা উম্মুক্ত করে দিয়েছে । বিপুল প্রাকৃতিক সম্পদের কারনে এটা এতটাই সম্ভাবনাময় যে,অনেকেই এটাকে ১৯৭৮ সালে চীনের বিনিয়োগ বাজার উম্মুক্ত করে দেয়ার সাথে তুলনা করেছেন । মাত্র ৪০ বছরে চীনের অর্থনৈতিক উত্থান আজ কোথায় সেটা সবাই আমরা জানি । কাজেই ঢাক গুরগুর করলেও কেউই চাইবে না মিয়ানমার এর সাথে সম্পর্ক  খারাপ করে বিনিয়োগের সুযোগ হাতছাড়া করতে ।আর ভারতের মিয়ানমার -থাইল্যান্ডকে নিয়ে মহা সড়কের পরিকল্পনায় মিয়ানমার অতি গুরত্বপুর্ন । আরও একটা সন্দেহ উড়িয়ে দেয়া যায় না - রাখাইন রাজ্য প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর তাই মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানীগুলো যদি অতীত ইতিহাসের সুযোগ নিয়ে রোহিঙ্গাদের জাতিগত ভাবে উৎখাত করতে চায় ,সেটাও হলে হতে পারে । কারন নিজেদের স্বার্থে মধ্য আফ্রিকার অনেক দেশের সরকার পর্যন্ত পরিবর্তন করানোর রেকর্ড এদের আছে । সবমিলে মিয়ানমারের সাথে স্বার্থের কারনেই বড় বড় রাষ্ট্রগুলো সেভাবে কিছু বলছে না । তুরস্ক ,মালয়েশিয়া কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে কিন্তু সেটা যথাযথ বা যথেষ্ট নয় । তবে মিয়ানমারের সাথে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করে সবচেয়ে সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছে দ্বীপ রাষ্ট্র মালদ্বীপ ।
রোহিঙ্গা সমস্যায় সবচেয়ে বেশি ভুগতেছি আমরাই- একদিকে মানবিকতা আর একদিকে দেশের স্বার্থ । তবে এখন পর্যন্ত মানবিক দিক বিবেচনায় আমাদের  সরকার যা করেছে সেটা যথার্থ । আশ্রয়প্রার্থীরা চিকিৎসা সহায়তা ও ত্রান পাচ্ছে,সাময়িক আবাসন এর ব্যবস্থাও করা হচ্ছে । তবে দীর্ঘমেয়াদে আর্ন্তজাতিক সাহায্য প্রদানকারী সংস্থাগুলোর সাহায্য নেয়া উচিত ।
ব্যক্তি পর্যায়ে এবং সাংগঠনিকভাবে কিছু মানুষও বেসরকারিভাবে  সাহায্য করছে । মানুষ হয়ে মানুষের বিপদে দ্বাড়ানোই এখন উচিত ।তাই আপাতত তাদের খাওয়া এবং থাকার ব্যবস্থা করাই আমাদের দায়িত্ব, সাথে শরনার্থীদের যথাযথ তালিকা করা উচিত দ্রুত । সরকারের মুল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত যদ দ্রুত সম্ভব তাদেরকে নিজ ভুমিতে  ফেরত পাঠানো । আর্ন্তজাতিক লবীতে আওয়াজ তুলতে হবে তাদের নাগরিকত্ব প্রদানের । আশার কথা আগামীকাল থেকেই হয়তো শরনার্থীদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন শুরু হবে । মিয়ানমার সরকার বলেছে নাগরিকত্ব প্রমান করতে পারলে তারা রোহিঙ্গাদের ফেরত নিবে ,সমস্যা হচ্ছে রোহিঙ্গাদের কোন নাগরিকত্ব নেই । তবে সঠিক কুটনৈতিক আলোচনা চালিয়ে যেতে পারলে ফেরত পাঠানো সম্ভব ।প্রমান এর আগেও জাতিসংঘের সহায়তায় ১৯৭৮ সালে প্রায় আড়াইলক্ষ রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল ।
মানবিক কারনে যেমন আজ রোহিঙ্গাদের পাশে আমরা দ্বাঁড়িয়েছি তেমনিভাবে চাইবো সমস্যার সঠিক সমাধানের মাধ্যমে এসব শরনার্থীকে মিয়ানমারে পাঠানো হবে ।
আশাকরি রাস্ট্রীয় এই সমস্যায় সকল নাগরিক ও রাজনৈতিক দলগুলোর এক হতে থাকতে পারবে ।
স্বজন হারানো ,ঘর হারা মানুষগুলো ফিরে যেতে পারবে নিজ ভুমিতে ।

Monday, July 17, 2017

একজন রাশেদের কথা

খুব সহজ সরল এক ছেলে রাশেদ । রাশেদদের ছোট সংসার ! বাবা মা আর ভাই বোন নিয়ে সুখের সংসার। সংসারে অভাব আছে, আছে নানা কষ্ট , ও না পাওয়ার গল্প । তারপরও তাদের সংসারটা অনেক সুখের । নানা ঝামেলার মাঝেও এই সুখটুকু রাশেদকে মানসিক প্রশান্তি দ্যায় । সে আসলে কিছুটা অদ্ভুদ প্রকৃতির মানুষ !! তার চারপাশে তারচাইতেও আরও অনেক অদ্ভুদ প্রকৃতির মানুষ আছে তবে রাশেদের বিষয়টা একটু আলাদা ! সে সব সময় সাধারনই থাকে ,তার যতসব অদ্ভুতুরে বিষয়গুলো দেখা দ্যায় যখন সে একা থাকে । কোন একদিন কোন একজন মানুষ তার এইসব অদ্ভুদ বিষয় নিয়ে বলেছিল- “তুমি যে আসলে কি না ?” সত্যি তাই , সে তো আসলেএকটা “কি” ই ! এই “কি” জিনিসটা কেউ বুঝে না , রাশেদও প্রথম দিকে বুঝত না কিন্তু এখন সে বোঝে । এই যে তার অদ্ভদ অদ্ভুদ অনুভুতি, কেমন-কেমন লাগা সে নিজেই এইটার নাম দিয়েছে “কি” ।
দুনিয়ার সব কিছুতেই রাশেদের অনেক আগ্রহ । রাস্তা দিয়ে একটা গাড়ি গেলে সে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে, গাছের পাতা বাতাসে নড়ে উঠলে সে সেই শব্টা শোনার চেষ্টা করে, শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে তাকিয়ে মানুষের রাস্তা দিয়ে হাঁটাচলা দেখে । এ সব কিছুই তার কাছে অনেক সুন্দর মনে হয় । এমন কি একবুক নিকোটিন টানার পর যখন ধোয়াগুলো কুন্ডলী পাকিয়ে সামনে উড়তে থাকে, সেখানেও সে সৌন্দর্য্য খুজেঁ পায় :D
তার সবচাইতে ভাল লাগে মানুষকে হাসতে দেখলে ।
কেউ হাসলে রাশেদের এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করে । এজন্য অবশ্য তাকে কম বিড়ম্বনা পোহাতে হয় নাই তবে সে অন্য কথা !! এখন রাশেদ তাই অনেক সতর্ক !! কাউকে হাসতে দেখলেই সে আর হা করে তাকায় না ! লুকিয়ে লুকিয়ে দেখে ;-)
ইদানিং সে অন্য একটা উপায় বের করেছে । রাশেদ খেয়াল করে দেখেছে কি অল্পতেই না মানুষ খুশি হয় । এখন সে আশেপাশের মানুষগুলোকে নানা ভাবে খুশি করার চেষ্টা করে ।
একটা ভাল কথা বা সামান্য হাসিও যে মানুষকে কতটা খুশি করতে পারে,সেটা না দেখলে বুঝিয়ে বলা সম্ভব নয় । মানুষ খুশি হয় আর রাশেদ সেটা প্রান ভরে দেখে ।
প্রতিনিয়ত রাশেদের চারপাশের মানুষগুলো বদলে যাচ্ছে, কত দ্রুতই না বদলে যাচ্ছে কিন্তু রাশেদ বদলাতে চায় না । সে আসলে “কি” ই থাকতে চায়।
রাত প্রায় দুটো  ! রাশেদ এখন শুয়ে আছে পিচঢালা পাকা রাস্তায় ! আকাশে মেঘ থাকলেও হঠাৎ হটাৎ দুই একটা তারা মেঘ ফুরে উকিঁ দিচ্ছে।
রাশেদের কিছু ভাল লাগছে না আবার খারাপও লাগছে না । হা করে, শূন্য দৃষ্টিতে সে চেয়ে আছে আকাশের দিকে…………………..

Tuesday, May 16, 2017

ন্যাড়া কাহিনী

গতকাল সকালে উঠেই মনে হইলো মাথা ন্যাড়া করে ফেলবো, যেই ভাবা সেই কাজ ! সেলুনের ছেলেটাকে ডেকে এনে মাথা ন্যাড়া করে ফেললাম। শুধু ন্যাড়া করেই ক্ষ্যান্ত হই নাই সেটা ফেসবুকেও আপলোড করে দিছি। এই নিয়ে কেউ খুশি আবার অনেকেই নাখোস। একজন তো আমাকে বলে বসেছেন-শিক্ষক মানুষ মাথা ন্যাড়া করা কি ঠিক ? ছাত্র ছাত্রী দেখলে কি মনে করবে ?
মাথা ন্যাড়া্ করাটা দোষের কি বুঝলাম না ! পরে ভেবে দেখলাম দোষ আসলে আমারও না, সেই ব্যক্তিরও না। ছোট বেলা থেকেই আমরা জেনে এসেছি- চুল ঘন ও কালো করা্র চেষ্টা ছাড়া,কোন দোষ করলে শাস্তি স্বরুপ ধরে মাথা ন্যাড়া করে দেয়া হয় । এমন কি মাথা ন্যাড়া করলে শুনতে হত নানা টিপ্পনী। সহপাঠীরা বলতো –
‘ঠুল্লা মাথা বেল বেল পইড়া গেল মাথার তেল।’
কারনটাও অবশ্য অনুমেয় কারন ছোট বেলায় মা, দাদীরা ন্যাড়া মাথায় জবজব করে তেল দিয়ে দিতেন ।
কিন্তু মাথা ন্যাড়া কি শুধূ কেশ ঘন কালো আর দোষ করলে শাস্তি স্বরুপ করা হয় ?
জন্মের পরপরই ৭ দিনের মধ্যে মাথা কামানো দিয়ে শুরু হয় ন্যাড়া করার পালা, জন্মানোর পরপরই নিশ্চই কেউ দোষ করে না তাই নিশ্চিত অন্য কোন এক অজানা কারনে মাথা ন্যাড়া করে দেয়া হয় ।
হিন্দু ধর্মে মা বাবা মারা গেলে শ্রাদ্ধের সময় মাথা ন্যাড়া করার রেওয়াজ রয়েছে। আবার এই ধর্মের সদ্য বিধবারাও স্বামীর মৃত্যু শোকে মাথা ন্যাড়া করে থাকেন। অর্থাৎ ন্যাড়া মাথা শোকের আমেজ বহন করে এবং সেটা ধর্মীয় মতে । আবার তীর্থযাত্রীরা মহিলা পুরুষরাও গয়া কাশি বৃন্দাবন ঘুরে আসলে মাথা ন্যাড়া করেন,এটা হয়তো পবিত্রতার স্বরুপ করে থাকেন ।
ইসলাম ধর্মেও পুরুষরা হজ্বের সময় মাথা ন্যাড়া করেন । মানে এখানেও মাথা ন্যাড়া করার সাথে ধর্মীয় সম্পর্ক বিদ্যমান ।
বৌদ্ধ ধর্মের মন্ক বা সন্যাসীদের কথা ভাবলেই প্রথমেই আসে ন্যাড়া মাথা -এখানেও ধর্মের সাথে ন্যাড়া মাথা জড়িয়ে গেছে । অর্থাৎ মাথা ন্যাড়া শুধু দোষের কারনে নয় ধর্মও বিভিন্ন কারনে মাথা ন্যাড়াকে সমর্থন দিয়েছে ।
আবার যুগে যুগে প্রতিবাদের ভাষা হিসেবেও মাথা ন্যাড়া করা অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে । ফিলিপায়েন্সের মানিলা তে চব্বিশ জন শ্রমিক, তাদেরকে ছাঁটাই করার প্রতিবাদে মাথা ন্যাড়া করে প্রতিবাদ শুরু করে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। ২০১২ সালের অক্টোবর মাসে চীনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের লিঙ্গ বৈষম্যের নীতির বিরুদ্ধে ৪ জন মেয়ে মাথা ন্যাড়া করে প্রতিবাদ করে। এভাবেই যুগে যুগে প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে কাজ করেছে ন্যাড়া মাথা ।
এতো গেলো ন্যাড়া মাথার ধর্মীয় আর সামাজিক দিক,চলেন দেখি বৈজ্ঞানিক ভাবে কি ব্যাখা দেয়া হয়েছে - সোশ্যাল সাইকোলজি অ্যান্ড পারসোনালিটি সায়েন্স জার্নালে আমেরিকার পেনসিলভিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হোয়ারটন স্কুলের অধ্যাপক আলবার্ট ম্যানিস দীর্ঘ গবেষনা করে জানিয়েছেন- চুল কামিয়ে চকচকে ন্যাড়া মাথার মানুষরা সচারচর ক্ষুরধার ও কঠিন স্বভাবের। চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে তাদের প্রভাবশালী ও বেশি পৌরুষ বিরাজ করে।
এতো গেলো ন্যড়া মাথার স্বপক্ষে যুক্তি । এবার চলুন চিনে আসি ন্যাড়া মাথার বিখ্যাত কিছু ব্যক্তিকে ।
মহাত্মা গান্ধীকে কে না চিনেন, দেশ সেবার আজীবন ব্রত নিয়ে অহিংসবাদী এই মহান নেতা আজীবন ছিলেন ন্যাড়া মাথায় । তিব্বতীয়ান নেতা ও ধর্মীয় গুরু দালাই লামাও ন্যাড়া মাথার মানুষ ।
খেলার জগতেও ন্যাড়া মাথার জয় জয়কার । ন্যাড়া ফুটবলারের সংখ্যা গুনে শেষ করা যাবে না তার মধ্যে প্রথমেই মনে পড়বে “দ্য ফেনোমেনন” নামে খ্যাত রোনাল্ডোর কথা । ন্যাড়া মাথাকে ব্রান্ডিং করার জন্য রোনাল্ডোর নামটা উপরের দিকেই থাকবে । এরপর যদি কারও চকচকে মাথার কথা মমে পড়ে তো সেটা জিনেদিনে জিদান , অবশ্য এক সময়ের ফ্রান্সের গোলকিপার ফাবিয়ান বার্থেজও ন্যাড়া মাথার জন্য পরিচিতি লাভ করেছিলেন ।
বাস্কেট বলে ন্যাড়া মাথার অভাব নেই তবে বিখ্যাত নামটা অবশ্যই মাইকেল জর্ডান ,টেনিসে যেমন আছেন আন্দ্রে আগাসী । এদিকে অ্যাথলেটিকসে ব্রিটেনের মো ফারাহ তো চার বারের অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন।
বক্সিং এর বিখ্যাত দুটি নাম মাইক টাইসন এবং ফ্লয়েড মেডওয়েদার- কাকতালীয়ভাবে দুজনেই ন্যাড়া মাথার । ডোয়াইন জনসন কে চিনেন তো ? অবশ্য এই নামে না চেনারই কথা কারন উনি “দ্যা রক” নামেই আমাদের সবার কাছে পরিচিত- নিশ্চই তার ন্যাড়া মাথার কথা মনে করিয়ে দিতে হবে না । রেসলিং জগতের আরও একজন ট্রেড মার্ক ন্যাড়া মাথার মালিক হচ্ছেন স্টিভ অষ্টিন ।
সিনেমা জগতেও ন্যাড়া মাথার মানুষের অভাব নেই –আমার প্রিয় অ্যাকশন হিরো জেসন স্ট্যাথাম, ট্রিপল এক্স বা ফার্স্ট এন্ড ফিউরিয়াস খ্যাত ভিন ডিজেল, ব্রুস উইলিস, শক্তিশালী ব্রিটিশ অভিনেতা পেট্রিক স্ট্রুয়ার্ট প্রত্যেকেই ন্যাড়া মাথার ।
বিশ্বকাপ ফুটবল দেখলে পিট বুলকেও চেনার কথা – ওই যে, ন্যাড়া মাথার যে মানুষটা ব্রাজিল বিশ্বকাপে সুন্দরি জেনিফার লোপেজের পাশে দাড়িঁয়ে “ওলে ওলা” গেয়েছিল ।
অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা ন্যাড়া মাথার জেফ বেজোস যে, একজন সফল ব্যবসায়ী সেটা ও বলার অপেক্ষা রাখ না ।
মাথা ন্যাড়া করার ক্ষেত্রে নারীরা ও পিছিয়ে নেই –সিনেমা প্রেমী হন আর না হন মিডিয়ায় সামান্য আগ্রহ থাকলেও পাশের দেশের ঋতুপর্ন ঘোষের নাম শোনারই কথা, গুনী এই অভিনেত্রী এবং পরিচালক সব সময়ই ন্যাড়া মাথায় থাকেন । ন্যাড়া করেছিলেন ম্যাড ম্যাক্সের হেরোইন চার্লিস থেরন আবার ধরেন আমেরিকান আইডল কেলি পিকল- যিনি স্তন ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়তে থাকা তার বাল্য বান্ধবীকে সমর্থন জানাতে মাথা ন্যাড়া করেছিলেন ।
ন্যাড়ার সাতকাহনের পর ন্যাড়া মাথার সমর্থনে আশা করি আর কিছু বলতে হবে না । এবং ভবিষ্যতে কারও মন চাইলেই বা প্রয়োজনে মাথা ন্যাড়া করতেও দ্বিধা করবেন না ।
কথিত আছে, ন্যাড়া বেলতলায় একবারই যায় – এটাও ভুল ! কারন মাথায় বেল না পড়া পরযন্ত ন্যাড়া বেল তলায় একবার না, যাবেন বারবার :)

Saturday, May 13, 2017

যুদ্ধাপরাধী নিয়ে ক্যাচাল

এই লেখাটা লিখেছিলাম ২০১৬ সালের ১৪ মে ।  আমার বাড়ির পাশের আমারই এক প্রাক্তন ছাত্র আমাকে যুদ্ধাপরাধীর শাস্তির ব্যাপারে একটা ফেসবুক পোষ্টে ট্যাগ দিয়েছিল। বিষয়টা ছিল ফিলিস্থিন উলামা পরিষদ এবং হিন্দুস্থান জামাত কর্তৃক নিজামীর ফাঁসি কার্যকর করায় নিন্দা জানানো । এই বিষয়ে আর কথা বলতে চাচ্ছিলাম না কিন্তু ও যেহুতু আমাকে পোষ্টে ট্যাগ দিয়েছিল তারই প্রেক্ষিতে কিছু বলা । আমি আগেও বহুবার একটা কথাই বলেছি “ইসলাম আর জামাতে ইসলাম এক কথা নয় “ জামাত একটি আর্ন্তজাতিক সংগঠন। সারা বিশ্বে এর শাখা ছড়িয়ে আছে তাই জ্ঞাতি ভাইয়ের জন্য আর একজন জ্ঞাতি ভাই চিল্লাবে সেটাই তো স্বাভাবিক ।সেটা ভারতীয় ও হতে পারে পাকিস্তানীও হতে পারে । পাকিস্থান জামাত -হিন্দুস্থান জামাত ,মুসলিম ব্রাদারহুড আর বাংলাদেশের জামাতে ইসলাম সবাই একসূত্রে গাঁথা । এই আর্ন্তজাতিক সংগঠনটি যখন দেশপ্রেম আর দেশ নিয়ে কথা বলে তখন সত্যি আমার হাসি পায় ! আমাকে বুঝানোর কিছু নাই ,আমি মুসলিম পরিবারের সন্তান ,পারিবারিকভাবেই নৈতিক আর ধর্মীয় শিক্ষা পাইছি বাকিটুকু ইসলামী বইপত্র পড়ে শেখার চেষ্টা করছি ।আমি হুজুরদের কথা অন্ধভাবে বিশ্বাস করি না । কারন যে কোন বিষয়ে তারা  জানুক আর না জানুক নিজের মত করে হলেও  একটা ব্যাখা দিয়ে দ্যায় :) আজ পর্যন্ত ছোট/বড় যে কোন হুজুরকে প্রশ্ন করে তার উত্তর দিতে পারেন নাই বা বলেছেন যে বিষয়টা আমার জানা নেই এমনটা  আমি হতে দেখিনি । মাথায় টুপি আর দাড়ি রাখলেই হুজুর রা নিজেদের ধর্মের সকল কিছুর অধিকারি ভাবতে শুরু করেন আর ধর্মীয় নেতাদের বিশ্বাস  করার প্রশ্নেই আসে না কারন এরা জাত ব্যবসায়ী, মানুষকে ধর্মের ভয় দেখিয়ে আর ধর্মকে পূজী করে ব্যবসা করেই এরা নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করেন ( উপরের দুটি মন্তব্যই অবশ্য পাইকারি হারে সবার জন্য প্রযোজ্য নয়, দুই একজন ব্যতিক্রম আছেন তবে তারা ধর্ম নিয়ে কখনই এত লাফালাফি করেন না- এমন দুই একজনকে বলতে শুনেছি -ধর্ম সৃষ্টি করেছেন আল্লাহ তালা আর সেটা রক্ষাও করবেন উনি, আমার কাজ সেটা পালন করা আর মানুষকে ধর্মের পথে দাওয়াত দেওয়া )। আমার ইসলাম আমাকে শিক্ষা দিয়েছে সহনশীলতা,মানবিকতার, ন্যায়ের । এই শিক্ষা নিয়ে একজন লেবাসধারী হুজুর যে কিনা যুদ্ধাপরাধী,হত্যাকারী তার পক্ষে কথা বলার শিক্ষা আমার ইসলাম আমাকে দ্যায় নাই । যাউগ্যা অত প্যাচাল না পারি- তুরস্ক নাকি তার রাস্ট্রদূতরে ডাইকা নিছে ,নিজামীর ফাসিঁর ব্যাপারে বিস্তারিত জানার জন্য । অনেকেই মনে করায় দিচ্ছেন যে তুর্কীরা আর্মেনিয়ানদের সাথে কি করেছিল । আমার অবশ্য অত কিছু মনে হচ্ছে না ,কারন  একদল যুদ্ধাপরাধী আর একদলকে সাপোর্ট দিবে এটাই তো স্বাভাবিক নাকি ? নিজামীরে ঝোলানোর পর পাকিদের নাকি কান্নাটা হচ্ছে দেখার মত !! ওরা মানবধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুলছে !!হায়রে, যে দেশে প্রতিনিয়ত মানবধিকার ধুলায় লুন্ঠিত হয়-যেখানে একই ধর্মের হওয়া সত্বেও শুধুমাত্র শিয়া সূন্নী মতভেদের কারনে ‍পুলিশ ষ্টেশন থেকে বের করে জবাই করা হয়, যেখানে নারীদের কোন অধিকার নেই ,যেখানে মসজিদে নামাযের সময় বোমা বিষ্ফোরন হয় । খুন হত্যা যখম থেকে যে দেশে খেলোয়াররাও ছাড় পায় না , প্রতি সেকেন্ডে যেখানে মানবধিকার লূন্ঠিত হয় তারাই বলছে মানবধিকার এর কথা !! এর চাইতে হাস্যকর কিছু করার ক্ষমতা বোধহয় আর তাদের নেই ।পাকিরা চেচাঁমেচি করুক, ধর্ম ব্যবসায়ীরা হাসঁফাস করুক কিন্তু আমরা একটু তৃপ্তি পেতেই পারি । যারা এই দেশটার জন্ম চায় নি, যারা আমার দেশের মান আর সম্মানকে হত্যা করেছে। হত্যা করেছে আমার দেশের ভাই,মামা,চাচাদের । ধর্ষন করেছে আমাদের মা বোনদের ,যাদের অন্যায় আর অত্যাচার থেকে বাদ যায়নি শিশুরাও । তাদের  বিচারে এতটুকু তৃপ্তি আমরা পেতেই পারি ।
#রাজাকার_নিপাত_যাক

Thursday, May 11, 2017

মধু’র বিড়ম্বনা

বিকেলে বসে আডাডা দিচ্ছি- হঠাৎ একটা ফোন আসল,
-আপনি কি নাসিরুল আলম মন্ডল বলেছেন ? আমি সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস,লালমনিরহাট থেকে বলছি ,ঢাকা থেকে আপনার একটা পার্সেল  এসেছে ।
আমি তখন রংপুরে একটা ট্রেনিং এ তাই বললাম…
- আমি কি পার্সেল টা রংপুর থেকে পিক করতে পারি।    উনি বললেন
- পারবেন। তবে রবিবার নিতে হবে ।
আমি কথা মত রবিবার তাদের রংপুর অফিসে গেলাম,
ভাই লালমনিরহাট থেকে আমার একটা পার্সেল এসেছে বলার পরও উনি আমার দিকে তাকালেনই না,১০ মিনিট দাড়িয়ে থেকে আবার প্রশ্ন করায় বলল।
- আপনাকে কি ফোন করা হয়েছে ,আমি বললাম না,
- তাহলে আপনি  এসেছেন কেন ?
  আর কথা না বাড়িয়ে চলে এলাম। ৪ দিন অপেক্ষা করেও ফোন না আসায় সিলেট যাওয়ার পথে আবার তাদের অফিসে গেলাম, কিন্তু এদিনও কিছুক্ষন উপেক্ষা এরপর তাদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেয়ার পর তারা বললেন
-এখানে আপনি এটা পাবেন না,আপনি শাপলায় পার্সেল অফিসে যোগাযোগ করেন।
   ঢাকার বাস ধরার তারা ছিল তাই আর সেদিন পার্সেল অফিসে  গেলাম না । ৪দিন পর সিলেট থেকে ফিরে এসে তাদের পার্সেল অফিসে যোগাযোগ করলাম।কিন্তু সেখানেও একই অবস্থা !  আমার কথা শোনারও যেন তাদের সময় নেই। অপেক্ষার অবসান শেষে ঘটনা বুঝিয়ে বলার পর তাদের কথা...
- আপনি এখানে এসেছেন কেন ,লালমনিরহাটে যোগাযোগ করেন।
লালমনিরহাট অফিসের নম্বর চাইলাম, কিন্তু তিনি আমার প্রশ্নের উত্তর দেয়ারও প্রয়োজন মনে করলেন  না ।আমাকে যেখান থেকে ফোন দেয়া হয়েছিল সেখানে ফোন দিলাম,এই নামের পার্সেল আমাদের কাছে নেই বলেই তারা ফোন কেটে দিল।( যেন আমি কথা বললে তাদের টাকা কাটত) অবশেষে অন্য মারফত লালমনিরহাট পার্সেল অফিসের নম্বর সংগ্রহ করে ফোন করলাম,এই ভদ্রলোক প্রথমে সেভাবে কথা বলতে না চাইলে , একটু রাগারাগিই করলাম । বললাম ,আপনার কাছে তো আমি টাকা চাচ্ছি না,তথ্য চাচ্ছি আর আপনারা ক্লায়েন্ট এর সাথে এত খারাপ ব্যবহার করেন কেন ? এতে উনি একটু নরম হলেন এবং আমাকে বুঝিয়ে শান্ত করলেন।
অতঃপর ৮ তারিখ বিকেলে ৩০ কিঃমি যার্নি করে  লালমনিরহাট গেলাম সেই অফিসে ,যেখান থেকে আমাকে প্রথম ফোন করা হয়েছিল ।সেখানে যিনি দায়িত্বে আছেন ১৫ মিনিট দ্বাড় করিয়ে রেখে খাতা খোজাঁ শুরু করলেন এবং কিছুক্ষন পর বললেন
- আপনি  নাসিরুল আলম মন্ডল ।
আমি বললাম - জ্বি হ্যাঁ !
-আপনি এখানে এসেছেন কেন,রংপুরে যোগাযোগ করেন“     কত তারিখে রংপুর পাঠিয়েছেন খাতা দেখে তাও বললেন।  ওনাকে বললাম রংপুরে ৩ দিন খোজঁ নিয়েছি।
তার এক কথার উত্তর - আবার যান ।
এই কথোপকথনের সময় উনি আমার দিকে তাকানোরও প্রয়োজন বোধ করেন নাই । এরপর রাগ করে ওনাকে বললাম রংপুর কোথায় পাঠিয়েছেন ফোন দেন । উনি ফোন না দিয়ে আমাকে নম্বর দিয়ে ফোন করতে বললেন। কি আর করা আমি ফোন দিলাম কিন্তু আমাকে প্রায় ৬ মিনিট লাইনে রেখেও রংপুর থেকে  বলতে পারল না যে,পার্সেলটা তাদের কাছে গেছে কিনা ? এরপর লালমনিরহাটের সেই ব্যক্তিকে নানা প্রশ্ন করলেও তিনি কোন উত্তর না দিয়ে একবার শুধু বললেন “আমার রংপুর পাঠাতে একটু দেরি হয়েছে “। বাধ্য হয়ে ঢাকা থেকে যিনি পাঠিয়েছেন #Hasan ভাই তাকে ফোন দিয়ে জানালাম । এর পরদিন আবার ৩৫ কিঃমিঃ এর হ্যাপা পেড়িয়ে  রংপুর অফিসে গেলাম কিন্তু সেখানেও আমার পার্সেলের কোন খোজঁ না পেয়ে সব আশা ছেড়ে দিয়ে বসে ছিলাম । কিন্তু আজ দুপুরে লালমনিরহাট থেকে আবার ফোন এল ,
- ভাই আপনি কি নাসিরুল আলম মন্ডল বলছেন , জ্বি হ্যাঁ ,
- আপনার পার্সেল টা আসলে রংপুর পাঠানো হয় নাই,নিচেই পড়ে ছিল আমরা আসলে দেখতে পাই নাই :O :O
এরপরই হাসান ভাইয়ের ফোন আসায় বুঝলাম ,ঘটনাটা ঘটল শুধুমাত্র হাসান ভাই তাদের ঢাকার অফিসে যোগাযোগ করেছেন  বলেই ।
জানিনা আবার নতুন কিছু ঘটবে কিনা তবে আশা করছি ২/৩ দিনের মধ্যে পার্সেলটা উঠিয়ে নিতে পারব কিন্তু মাঝখান থেকে  আমার প্রায় ৬/৭ শত টাকা খরচ হল :( নষ্ট হল অনেক গুলো কর্ম ঘন্টা,  :( উপরি পাওনা হিসেবে পেলাম কুরিয়ার সার্ভিস এর কর্মীদের যাচ্ছে তাই ব্যবহার :( :(

সরকারি ডাক বিভাগ নিয়ে নানা ধরনের রম্য গল্প প্রচলিত আছে আর এই যদি হয় একটা বেসরকারি  পার্সেল অফিসের সেবার অবস্থা , আমরা তাহলে যাব কোথায় ? এই পার্সেলটা হতে পারত জরুরী কোন ঔষধের , হতে পারত অন্য কিছু জরুরী বস্তু ! কিন্তু তাদের আচরন দেখে মনে হয়  আমাদের গ্রাহকদের সুবিধা অসুবিধায় তাদের কিছু যায়  আসে না :(
জানি ফেবুতে লিখে কোন লাভ নেই !! তারপরও শুধু শেয়ার করা জন্যই লিখলাম । আফসোস কবে যে আমরা সেবাগ্রহীতারা সকলে মিলে এইসবের বিরুদ্ধে জোড়ালো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারব ?